তৃণমূলে এবার তিন লক্ষ হোলটাইমার! পাখির চোখ ২০২১-এ নয়া ভাবনা মমতার
এতদিন হোলটাইমার শব্দটির সঙ্গে রাজনীতিতে সিপিএমের নামটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতে শোনা যেত। তারপর বিজেপিতেও ছিল হোলটাইমার।
এতদিন হোলটাইমার শব্দটির সঙ্গে রাজনীতিতে সিপিএমের নামটাই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতে শোনা যেত। তারপর বিজেপিতেও ছিল হোলটাইমার। এবার সিপিএম ও বিজেপির ধাঁচে হোলটাইমার নিয়োগের পথে হাঁটল তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন হোলটাইমার নিয়োগ করতে চলেছেন। সেই লক্ষ্যেই নজরুল মঞ্চে বসতে চলেছে কর্মিসভা।
২০২১-এ সাফল্য আনতে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি তৃণমূলকে অক্সিজেন জোগাতে প্রশান্ত কিশোরকে ভোট কৌশলী হিসেবে নিয়োগ করেছেন। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি কৌশল রচনা করছেন। সেই কৌশলের প্রয়োগ ঘটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১-এ সাফল্য আনতে বদ্ধপরিকর। সেই কারণেই সিপিএম-বিজেপির মতো তৃণমূলেও হোলটাইমার নিয়োগ এখন সময়ের অপেক্ষা।
ইউএসপি এই হোলটাইমার প্রথা
বাম জমানায় দীর্ঘ ৩৪ বছর ক্ষমতা ধরে রাখার ইউএসপি ছিল এই হোলটাইমার প্রথা। সিপিএমের হোলটাইমারদের উপর ভর করেই সাড়ে তিন দশক ক্ষমতা ধরে রাখতে সমর্থ হয়েছে বামফ্রন্ট। এরপর রাজ্যে উত্থানের পর বুথ ভিত্তিক সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগে জোর দিয়েছে বিজেপি। এখন পিছিয়ে পড়ে তৃণমূলও সেই একই পথে হাঁটছে।
তিন লক্ষ সর্বক্ষণের কর্মী তৃণমূলে
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা ডেকেছেন ২৯ জুলাই। নজরুল মঞ্চে বেলা দু-টোয় শুরু সভা। এই সভা থেকে রাজ্যের ৭৭ হাজার বুথে অন্তত চারজন করে হোলটাইমার নিয়োগ করতে চলেছে তৃণমূল। অর্থাৎ সর্বক্ষণের কর্মী হিসেবে নিয়োগ পেতে চলেছেন অন্তত তিন লক্ষ সদস্য।
ভিতটা আরও মজবুত করা জরুরি
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই ভাবনা প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত। এতদিন সর্বক্ষণের কর্মী ছাড়াই দলটা তরতরিয়ে চলেছে। কিন্তু সিপিএমের পর বিজেপির মতো সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে যে ভিতটা আরও মজবুত করা জরুরি, তা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে তৃণমূল।