তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে রাজীব, হাওড়া জেলা সভাপতি লক্ষ্মী রতন, এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন নেত্রী মমতা
তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে রাজীব, হাওড়া জেলা সভাপতি লক্ষ্মী রতন শুক্লা, এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন মমতা
একুশের বিধানসভা ভোটের আগে দলে গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব মেটাতে ময়দানে নামলেন নেত্রী মমতা। ব্যপক সাংগঠনিক রদবদল করে কড়া বার্তা দিয়েছেন দলনেত্রী। হাওড়ায় গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজীব বনাম অরূপের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছিল। দলে স্বচ্ছতা নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়ায় রেশন দুর্নীতি প্রকট হয়ে উঠেছিল। তারপরেই অরূপ রায়ের ডানা ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্য কমিটিতে নিয়ে এলেন। আর হাওড়া জেলা সভাপতির পদে বসানো হল লক্ষ্মী রতন শুক্লাকে।
রাজ্য কমিটিতে রাজীব
দলে গুরুত্ব বাড়ল রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের। লোকসভা ভোটের পর থেকে দলে রাজীবের গুরুত্ব বেড়েছিল। দলনেত্রীর ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন তিনি। গত কয়েকদিন স্বচ্ছতা নিয়ে সরব হয়েিছলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজীবের সেই স্বচ্ছতার ভাবমূর্তিকে তুলে ধরতেই দলের রাজ্য কমিটিতে রাজীবকে যুক্ত করেছেন দলনেত্রী।
ডানা ছাঁটা হল অরূপের
রাজীবের গুরুত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডানা ছাঁটা হয়েছে অরূপ বিশ্বাসের। তাঁকে হাওড়া জেলার সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা এবং আম্ফান পরবর্তী সময়ে হাওড়ার একাধিক জায়গায় রেশন দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছিল। তাতে নাম জড়িয়েছিল শাসক দলের। তার জেরেই অরূপের উপর কোপ পড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
হাওড়ার দায়িত্বে লক্ষ্মীরতন শুক্লা
হাওড়া জেলার সভাপতির পদে বসানো হয়েছে ক্রীড়া জগতের অন্যতম ব্যক্তিত্ব লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে। নতুন মুখকে হাওড়া জেলার দায়িত্ব দিয়ে এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন মমতা। একদিকে অরূপ বিশ্বাসের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। অন্যদিকে দুই নেতার দ্বন্দ্বে জল ঢেলেছেন তিনি।
দলের অনুগতদের গুরুত্ব
একুশের ভোটে দলের অনুগতদের উপরেই আস্থা রেখেছেন মমতা। সেকারণেই একাধিক নবীন মুখের ভিঁড় দেখা গিয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পদে। বিজেপির জোয়াের গা ভাসিয়ে মুকুল, সব্যসাচী, শোভনের মত একদা মমতা ঘনিষ্ঠ নেতারা দল বদলেছে। তাই আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না তিনি। একুশের হাই ভোল্টেজ বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে কোনও সুযোগ দিতে চান না দলনেত্রী। সেই মতোই সংগঠন সাজিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলের রাজ্যকমিটিতে ছত্রধর মাহাত, সুকুমার হাঁসদা, বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জঙ্গমহলে নজর মমতার