২০২১ নির্বাচন জিততে নতুন মডেল প্রয়োগ মমতার, ‘উল্টে দেখুন পাল্টে গেছে’ তৃণমূল
২০২১ নির্বাচন জিততে নতুন মডেল প্রয়োগ মমতার, ‘উল্টে দেখুন পাল্টে গেছে’ তৃণমূল
২০২১ নির্বাচন জিততে আর গতানুগতিক পথে নেই তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল এবার পাল্টে গেছে। এর আগে যেমন স্লোগান তুলেছিলেন তৃণমূল- 'উল্টে দেখুন পাল্টে গেছে'। তৃণমূল এবার নিজেই সাংগঠনিক কাঠামো পাল্টে একুশের নির্বাচন লড়তে নয়া কৌশল অবলম্বন করল। তৃণমূল পর্যবক্ষেক পদ উড়িয়ে নিয়ে কো-অর্ডিনেটর পদ।
জয়ের কড়ি জোগাড়ে নয়া মডেল
তৃণমূল মনে করছে, কাঠামোগত এই নতুন মডেলই তাদের জয়ের কড়ি জোগাড় করে দেবে। সম্প্রতি দলে বিস্তর রদবদল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু রাজ্য বা জেলা স্তরেই নয়, ব্লক স্তরেও রদবদল করা হবে তৃণমূলের। আর এই দলবদলের পর ইতিবাচক সাড়া মিলেছে বহু ক্ষেত্রেই। তবে এই পদ অবলুপ্তি নিয়ে বিপরীত মতও রয়েছে তৃণমূলে।
জেলার নেতাদের স্ব-স্ব জেলায় দায়িত্ব
২০২১-এর নির্বাচনের আগে তৃণমূল গুরুত্ব দিতে চেয়েছে জেলার নেতাদের স্ব-স্ব জেলায় কাজে লাগাতে। পর্যবেক্ষকরা ছিলেন ভিন্ন জেলার। এবার তাঁদের নিজস্ব জেলাতেই বহু কেন্দ্রের ভোট সামলাতে হবে। তাই ভিন্ন জেলায় মনোনিবেশ না করে নিজের জেলা নিয়ে ভাবতেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে তৃণমূল।
কো-অর্ডিনেটর পদ এনে দায়িত্ব বণ্টন
তৃণমূল সুপ্রিমো পর্যবেক্ষকদরে কাজে সন্তুষ্ট ছিলেন না। কারণ যাঁরা পর্যবেক্ষক ছিলেন, তাঁদের উপর অনেক দায়িত্ব ছিল। সবাই-ই প্রায় শীর্ষ নেতৃস্থানীয়। তাই তাঁদের ভার লাঘব করা প্রয়োজন ছিল। পর্যবেক্ষকরা সেভাবে জেলার উপর দৃষ্টি দিতে পারছিলেন না। এখন সেই জায়গায় কো-অর্ডিনেটরদের এনে দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়াই শ্রেয় মনে করেছেন মমতা।
অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত নয়া মডেল
নতুন মডেলে ঠিক হয়েছে, কো-অর্ডিনেটররা চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতির নেতৃত্বে কাজ করবেন। আর এই কো-অর্ডি্নেটররা প্রত্যেকেই জেলার হেভিওয়েট নেতা। এঁরা সেনাপতির মতো কাজ করবেন জেলায় জেলায়। তৃণমূল মনে করছে এই পদ্ধতি অনেক বেশি বিজ্ঞানসম্মত। নবীন-প্রবীণ মিশিয়ে এক সুশৃঙ্খল বাহিনী গড়ে তোলাই মমতার উদ্দেশ্য।
মুকুলকে নির্বিষ করতে চাইছেন মমতা! ২০২১-এর নির্বাচনের এসব কি পিকের প্ল্যান