আমায় ভালোবাসলে বিশ্বাস রাখুন আমার কথায়, ইদের আগে হাতজোড় করে আবেদন মমতার
একদিন বাদেই ইদ। তার আগে রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি কাতর আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একদিন বাদেই ইদ। তার আগে রাজ্যের মুসলিম সম্র্থদায়ের মানুষের প্রতি কাতর আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি হাতজোড় করে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের উদ্দেশ্যে জানালেন, কীভাবে এই ইদ পালন করবেন। এই করোনা লকডাউন সিচুয়েশনে এবং রাজ্যের ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত অবস্থায় সবিনয়ে আবেদন করলেন রাজ্যবাসীর কাছে।
আমায় ভালোবাসলে বিশ্বাস রাখুন
ইদের আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাতজোড় করে মমতা বলেন, আমি হাতজোড় করে বলছি- আমায় ভালোবাসলে বিশ্বাস রাখুন। এবারটা অন্তত বাড়িতে বসে ইদটা পালন করুন। তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তিনি বলেন, আপনাদের প্রতি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। আপনারাও নিশ্চয় আমাকে বিশ্বাস করেন। বিশ্বাস করলে আমার আবেদন মানুন। আমার বিশ্বাস আপনারা মানবেন।
আল্লা ও ভগবান সব এক!
মুখ্যমন্ত্রী মমতার কথায়, আল্লা ও ভগবান সব এক। বাড়িতে বসেই প্রার্থনা করুন। ইট বা পুজো সবই করুন বাড়িতে বসে। সামনই ইদ। রমজানের রোজা যেভাবে বাড়িতে বলে পালন করেছেন, ইদও পালন করুন বাড়িতে থেকে। বাড়িতে বসেই আল্লার কাছে প্রার্থনা করুন। একটাবার অন্তত এভাবেই ইদ পালন করুন, তাহলেই সবার মঙ্গল।
আমিও কালীঘাটে পুজো দিতে পারিনি
মমতা বলেন, আমিও এই প্রথমবার কালীঘাটে পুজো দিতে পারিনি পয়লা বৈশাখ। এতদিন ধরে এই প্রথা মেনে চলেছি। কিন্তু এবার পারিনি। পরিস্থিতি বিচার করেই প্রথা ভাঙতে হয়েছে। বাড়িতে বসে মায়ের কাছে প্রার্থনা জানিয়েছি বাংলার ভালো হোক। আপনারাও আমার মতো বাড়িতে বসে আল্লার কাছে প্রার্থনা করুন।
খুশির ইদ সবার ভালো কাটুক
মমতা বলেন, খুশির ইদ সবার ভালো কাটুক। আপনাদের পরিস্থিতি আমিও বুঝি। কিন্তু ডিজাস্টার আইনের কারণে ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। লকডাউন মানতে হচ্ছে। মানতেও হবে সবাইকে। ফলে সকলে বাড়িতে থেকে আল্লার কাছে প্রার্থনা করুন। করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন চলছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবাইয়ের লকডাউনকে মান্যতা দেওয়া উচিত।
ইট ইজ মোর দ্যান ন্যাশনাল ডিজাস্টার
এদিন আম্ফানবিধ্বস্ত বাংলা নিয়েও মমতা বলেন, কেরলে একমাস লাগলেও আমরা ৪-৫ দিনে করে দেব। লকডাউনের মেনে কাজ করা ডিফিকাল্ট। লকডাউনের ফলে অনেকে আসতে পারছেন না। তাঁর কথায়, ইট ইজ মোর দ্যান ন্যাশনাল ডিজাস্টার। রাজ্যের ৭০ শতাংশ মানুষ সরাসরি আক্রান্ত আম্ফানে, ৩০ শতাংশ পরোক্ষভাবে।