অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি ৬০ বছর পর্যন্ত সুনিশ্চিত, খোলা মঞ্চে খুশির ঘোষণা মমতার
মুর্শিদাবাদের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের ঘোষণা করলেন, অস্থায়ী সরকারী কর্মীদের চাকরি সুরক্ষিত। ৬০ বছর পর্যন্ত সমস্ত অস্থায়ী সরকারিকর্মীরা চাকরি করতে পারবেন।
অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি নিয়ে সমস্ত অনিশ্চয়তা দূর করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই তাঁর সরকার এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এবার মুর্শিদাবাদের সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের ঘোষণা করলেন, অস্থায়ী সরকারী কর্মীদের চাকরি সুরক্ষিত। ৬০ বছর পর্যন্ত সমস্ত অস্থায়ী সরকারিকর্মীরা চাকরি করতে পারবেন। তাঁর সরকার সেই ব্যবস্থা করেছে অস্থায়ী কর্মীদের নিশ্চয়তার কথা ভেবে। তাঁরা যাতে সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আসেন সেই ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ করেন।
[আরও পড়ুন: মোদী সরকারকে 'বাংলা-মডেলে'র তোপ, উন্নয়ন শিখতে 'সু-পরামর্শ' মমতার]
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এতদিন যাঁরা কন্ট্রাকচুয়াল ছিলেন, তাঁরা সুরক্ষা ব্যবস্থায় ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত নিশ্চিন্তে চাকরি করতে পারবেন। এছাড়াও তাঁরা পাঁচ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতাতেও আসবেন। এই সমস্ত পরিষেবা মিলবে আশা প্রকল্পের কর্মীদেরও। এমনকী সিভিক ভলেন্টিয়াররাও এই আওতায় আসবেন।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরকারি কর্মীদের জন্য এই খুশির খবরে যতই বিতর্ক থাকুক, রাজ্যের তৃণমূল সরকার যে সেসব তোয়াক্কা করছেন না, তা এদিন মুর্শিদাবাদের জনসভা থেকে বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন:নোটবন্দির এক বছর আগেই ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ছক! মোদীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মমতা ]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের তরফে অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের ঘোষণার পর বিরোধীরা সরব হন। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যেই এই ঘোষণা করা হয়েছে। আদৌ এই ঘোষণা কার্যকরী হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন বিরোধী দলগুলির পক্ষে অধীর চৌধুরী, সুজন চক্রবর্তী ও দিলীপ ঘোষরা।
সম্প্রতি রাজ্যের অস্থায়ী কর্মীদের চাকরি পাকা করার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে বেতন বৃদ্ধির করার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে চুক্তির ভিত্তিতে কিংবা দৈনিক মজুরিতে হাজার হাজার অস্থায়ী কর্মী কাজ করছেন বিভিন্ন দফতরে। এই ঘোষণা তাঁদের কাছে খুশির বার্তা নিয়ে আসে।