সরকারিকর্মীদের বড় ‘উপহার’, পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই ঘোষণা মমতার
যে সমস্ত সরকারি কর্মী মে দিবসে ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকবেন, তাঁদের বিকল্প ছুটির বন্দোবস্ত করতেই রাজ্য সরকার মে দিবসের পরদিন ছুটি ঘোষণা করল।
মে দিবসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আসর বসছে রাজ্যে। তা হলে কি মে দিবসের ছুটিটা নষ্ট হল সরকারি কর্মীদের? ভুলেও এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না। রাজ্য সরকার মে দিবস পালনের জন্য পরদিনই ছুটি ঘোষণা করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। ফলে পর পর দুদিন ছুটি মিলতে চলেছে সরকারি কর্মীদের। যে সমস্ত সরকারি কর্মী মে দিবসে ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকবেন, তাঁদের বিকল্প ছুটির বন্দোবস্ত করতেই রাজ্য সরকার মে দিবসের পরদিন ছুটি ঘোষণা করল।
[আরও পড়ুন:বিজেপিকে 'জব্দ' করতে নয়া পন্থা তৃণমূলের, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আতঙ্ক বিরোধী শিবিরে]
নির্বাচন কমিশন শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে প্রথম দফার ভোটের দিন স্থির হয়েছে মে দিবসে। তখনই কানাঘুষো শুরু হয়েছিল তাহলে মে দিবসের ছুটির কী হবে? কী করে পালিত হবে শ্রমিক দিবস। পরক্ষণেই সেই সমস্যার সমাধান করে দিল রাজ্য সরকার। নবান্নের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, মে দিবসের পরদিনই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ছুটি দেওয়া হবে। সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি জারি করে তা জানিয়ে দেওয়া হয়।
মে দিবসে ভোটের কাজে নিযুক্ত কর্মীরা ছাড়া বাকিরা কিন্তু ওইদিন ছুটিই পাচ্ছেন। তবু যেহেতু ভোটের কারণে মে দিবস উদযাপনে বিঘ্ন ঘটবে, পরদিন ছুটি ঘোষণা করে সুদে-আসলে তা পূর্ণ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরের দিনও সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা হওয়ায় সরকারি দফতর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
[আরও পড়ুন:মেঠোয়ালি পথে ঘুরে বেড়ানো শৈশব মন, আর তাকে বাঁধতেই এবার স্কুলে স্কুলে গল্প বলার আসর ]
সেইসঙ্গে এ কথাও প্রযোজ্য যে, এতদিন মে দিবসে সমস্ত সংবাদপত্র বন্ধ থাকত। কিন্তু মে দিবসে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ায়, সংবাদপত্র প্রকাশনার কাজও ওইদিন চালু রাখার ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা শুরু করা হয়েছে ইতিমধ্যে। আর ওইদিন যদি সংবাদপত্র প্রকাশনা হয়, তাও হবে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণায় 'প্যাঁচে' অমিত শাহ! উপায় খুঁজতে ব্যস্ত রাজ্য বিজেপি]