পাখির চোখ পঞ্চায়েত, ৫ লক্ষ পরিবারকে ‘বাংলার বাড়ি’ দিচ্ছেন ‘কল্পতরু’ মমতা
মাটি উৎসব উদ্বোধনে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝালেন তাঁর পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যে পাঁচ লক্ষ বাড়ি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মাটি উৎসব উদ্বোধনে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝালেন তাঁর পাখির চোখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই লক্ষ্যেই রাজ্যে পাঁচ লক্ষ বাড়ি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আমাদের সরকার শুধু কথা বলে না, কাজও করে দেখায়। আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজ্যের পাঁচ লক্ষ গরিব মানুষের হাতে বাংলার বাড়ি তুলে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।'
[আরও পড়ুন:পঞ্চায়েতের আগে পুনর্নিয়োগের সিদ্ধান্ত রাজ্যের! তবু কেন জটিলতা, কী অবস্থান বিরোধীদের]
এ মাসেই উপনির্বাচন রয়েছে রাজ্যের দুটি কেন্দ্রে। তা মিটলেই পঞ্চায়েতের দামামা বেজে যাবে। তাই ভোটের আগে গরিব মানুষদের জন্য আবাসন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্যের তৃণমূল সরকার। রাজ্যবাসীকে পাঁচ লক্ষ বাড়ি দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই বাড়ি প্রদানের অনুষ্ঠান হবে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। মঙ্গলবার বর্ধমানের মাটি উৎসব থেকেই তা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই প্রকল্পে পাঁচ লক্ষ গরিব পরিবারকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। জেলায় জেলায় জেলাশাসকদের হাত দিয়ে এই কর্মসূচি প্রদান করা হবে। সেইমতো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় এই কর্মসূচি নেওয়া হবে না। তার কারণ এই দুই জেলায় নির্বাচনী নিয়মবিধি লাগু রয়েছে। দুই জেলায় দুই কেন্দ্রে ২৯ জানুয়ারি ভোট।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কেন্দ্র সরকার আমাদের উপর নানা উপায়ে চাপ সৃষ্টি করছে। কিন্তু আমরা কোনও চাপের কাছে মাথা নত করছি না। যতই সিবিআই জজু দেখানো হোক না কেন, আমার সরকার মানুষের জন্য কাজ করে যাবে। আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সাধারণ মানুষকে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করব আমরা।'
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাটি উৎসবে অংশ নিয়ে জানিয়ে দেন, বিজেপিকে শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, তাঁর সরকারের উন্নয়ন দিয়েও রুখে দিতে তৈরি। সেই বার্তাই তিনি দিলেন রাজ্যবাসীকে। কৃষকদের সম্মানিত করলেন। বাংলার কৃষকসমাজকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার কথা বললেন। মোদীকে নিশানা করে জানিয়ে দিলেন, বাংলার কৃষক সবার সেরা।
মমতা বলেন, 'সিঙ্গুরে সোনার ফসল ফলেছে, আবার সিঙ্গুরে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। ফলে আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করি, তা পূরণ করাই আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হয়, তা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া রাজ্যজুড়ে আমরা সমস্ত দিকেই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্র রেখেছি। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করার জন্য বিশেষ কমিটি তৈরি করে আমরা এগিয়ে চলেছি। বাংলার উন্নয়নই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।'
[আরও পড়ুন:বিজেপির চমকের অপেক্ষায় উলুবেড়িয়া, নতুন প্রার্থী কে! আত্মপ্রকাশের পর চমকে যাবেন]