সিপিএমের দয়ায় জিতেছে বিজেপি! একুশের আগে বাড়ি বাড়ি জনসংযোগ যাত্রা তৃণমূলের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন ১৮টা আসনেই সিপিএমের দয়ায় জিতেছে বিজেপি। তার জন্য ওত বাড়াবাড়ির কী আছে!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন ১৮টা আসনেই সিপিএমের দয়ায় জিতেছে বিজেপি। তার জন্য ওত বাড়াবাড়ির কী আছে! এই ভোটে বিজেপির জয় যে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন মেলেনি, তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই মমতার। মমতা মনে করেন, এই ভোট লড়তে হয়েছে অর্থ ও পেশিশক্তির বিরুদ্ধে। তাই লড়াই কঠিন হয়েছে।
জনসংযোগ যাত্রা
আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে জনসংযোগ যাত্রা করার সিদ্ধান্ত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে জয়ী সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকের পর মমতা জানান, ২১ জুলাই পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেস জনসংযোগ যাত্রা করবে। ২১শে জুলাইকে সামনে রেখে এই জনসংযোগ যাত্রার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে চক্রান্ত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুধু টাকা ছড়ানোই নয়, একইসঙ্গে কুৎসা-অপপ্রচার চালানো হয়েছে। ভুয়ো ভিডিও করে বদনাম দেওয়া হয়েছে। তারপর বাম ভোট পড়েছে রাম ভোটে। সর্বপরি ইভিএমের কারচুপি তো আছেই। মোট কথা এবার নির্বাচনে চক্রান্ত হয়েছে। তার জেরেই ১৮ আসনে জয়ী হতে পেরেছে বিজেপি।
স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে নয় জয়
এখন হারার ভয়ে পার্টি অফিস দখল করছে। কেননা মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বিজেপির ওই জয় কাদের দয়ায় হয়েছে, কীভাবে হয়েছে। তাই এবার হারের ভয়ে সন্ত্রাস চালাতে শুরু করেছে। কেননা আমার বিশ্বাস মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে নয়, সমস্ত সাংবিধানিকে প্রতিষ্ঠানকে সদ্ব্যবহার করে এই জয় এসেছে।
ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, কয়েক লক্ষ ইভিএমের খোঁজ মিলছে না। সেই জন্য ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হোক। এদিকে পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার তদন্ত করার কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, বিদ্যাসাগরের ব্রোঞ্জের মূর্তি তৈরি করা হচ্ছে। তার আগে একটা ছোট মূর্তি বসানো হবে বিদ্যাসাগর কলেজে। এদিন বিশ্ব বাংলা লোগোতে বিকৃতি করা নিয়েও সরব হন মমতা।
[আরও পড়ুন:মমতার ১৭ মন্ত্রীই হেরেছেন বিজেপির কাছে! মিশন ২১-এর আগে 'পথ' খোঁজা শুরু]