উচ্চমাধ্যমিকের নয়া দিন ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের! রইল কবে কী পরীক্ষা
উপনির্বাচনের কারণে জটিলতা। আর সেই জটিলতা থেকেই উচ্চ মাধ্যমিকের নয়া দিন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন লোকাল ভোটগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সময়ে কেন
উপনির্বাচনের কারণে জটিলতা। আর সেই জটিলতা থেকেই উচ্চ মাধ্যমিকের নয়া দিন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিন তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন লোকাল ভোটগুলিকে গুরুত্ব দেয় না। পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সময়ে কেন করা হল না এই ভোট? তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
কিন্তু বিশেষ এই পরিস্থিতির জন্যে সূচি বদল করা হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।
অন্যদিকে মানিকতলাতেও উপনির্বাচন করতে হবে। কিন্তু তা করা হল না। সবটাই বিজেপি কথাতে হচ্ছে বলেও এদিন মারাত্মক অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে আমরা যে কোনও পরিস্থিতির জন্যে তৈরি রয়েছি। তবে ভোট ঘোষণার আগে কেন পরীক্ষার দিনগুলি কমিশন আলোচনা করে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এজন্যে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাঁর। তবে এই সময়ে সবাইকে সহযোগিতা করার কথা নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২ এপ্রিল থেকেই পরীক্ষা শুরু হবে। আর সেদিন বাংলার প্রথম ভাষার পরীক্ষা হবে। ৪ এপ্রিল বাংলার দ্বিতীয় ভাষার পরীক্ষা হবে। এরপর পাঁচ এপ্রিল উচ্চ মাধ্যমিকের ভোকেশনাল পরীক্ষা। এরপর মাঝে লম্বা ছুটি থাকছে। এরপরের পরীক্ষা হবে ১৫ তারিখ। ১৫ তারিখ পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের কোনও পরীক্ষা থাকছে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সেই সময়ে ভোটের প্রস্তুতি চলবে। আর তাতে সমস্যা হতে পারে পড়ুয়াদের।
এই কথা ভেবেই ১৬ তারিখ উচ্চ মাধ্যমিকের গণিতের পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর ১৮-১৯ এবং ২০ এপ্রিল পরীক্ষা রয়েছে। নতুন সময়সূচিতে ২০ এপ্রিল কমার্শিয়াল ল পরীক্ষা হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও ২২ এপ্রিল ফিজিক্সের পরীক্ষা হবে। ২৩ এপ্রিল স্ট্যাটেস্টিক পরীক্ষা হবে। ২৭ তারিখ বায়োলজিক্যাল সায়েন্সের পরীক্ষা হবে বলে জানানো হয়েছে। নয়া ঘোষণা অনুযায়ী সেদিনই শেষ হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।
অন্যদিকে ৩০ এপ্রিল রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের একটী পরীক্ষা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার ৭ লক্ষ ৩৯ হাজারেরও বেশী পরিক্ষার্থী রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
তবে পরীক্ষার দিনগুলিতে প্রচার চললেও মাইক আস্তে বাজানোর কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, যতটা সম্ভব পড়ুয়াদের কথা ভেবে রাজনৈতিক প্রচার, মিটিং মিছিল সীমিত করার আবেদন রেখেছেন তিনি। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসনকেও হোলি এবং দোলের দিনগুলিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তা দেখে রাখার নির্দেশ প্রশাসনিক প্রধানের।