মমতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অধীরও এক প্রাণ, ভিনরাজ্যে আটক বাঙালিদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা
করোনা ভাইরাসের মহামারী রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এর ফলে বাংলার বহু মানুষ ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছেন। তাদের কেউ গিয়েছেন কাজ করতে, কেউ হয়তো চিকিৎসা করাতে।
করোনা ভাইরাসের মহামারী রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এর ফলে বাংলার বহু মানুষ ভিনরাজ্যে আটকে পড়েছেন। তাদের কেউ গিয়েছেন কাজ করতে, কেউ হয়তো চিকিৎসা করাতে। অন্য কাজে গিয়েও অনেকে আটকে পড়েছেন। এই অবস্থায় তাঁদের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে সক্রিয় অধীর-ডেরেকও।
ভিনরাজ্যে যখন বাংলার মানুষজন আটকে
ভিনরাজ্যে যখন বাংলার মানুষজন আটকে আছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী নিজে উদ্যোগী হয়েছেন তাঁদের পাশে দাঁড়াতে। ১৮ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে দায়িত্ব দিয়েছেন ভিনরাজ্যে আটকে পড়া মানুষজনের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে। তিনি ফোন করে আটকে পড়া বাঙালিদের অভাব-অভিযোগ শুনছেন।
ভিনরাজ্যে আটকে পড়া মানুষজনের পাশে অধীরও
আর এক বাঙালি সাংসদ ভিনরাজ্যে আটকে পড়া মানুষজনের জন্য সদা ব্যস্ত হয়ে রয়েছেন। একের পর এক ফোন করে তিনি বাঙালিদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করছেন। ইতিমধ্যে কেরলে আটকে পড়া বহু বাঙালির থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন অধীর চৌধুরী। সদা ব্যস্ত অসহায় মানুষজনের পরিষেবা দিতে।
মুখ্যসচিবের চিঠি পুর কমিশনারকে
রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যসচিব চিঠি লিখে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার ব্যভস্থা করতে পুর কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁদের অত্যাবশ্যকীয় পণ্য জোগাড়ে যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তা কলকাতা থেকে দেখভাল করার দায়িত্ব কলকাতা পুর কমিশনারের। ইতিমধ্যে রাজ্যের হস্তক্ষেপে মুম্বইয়ে আটকে থাকা ৮৭ জন বাঙালি শ্রমিকের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পেয়ে
আদিত্য ঠাকরে টুইট করে জানান, ডেরেক ও'ব্রায়েনের কাছ থেকে্ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পেয়ে মহারাষ্ট্র সরকার বাঙালি শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিয়েছে। ডেরেক আদিত্যর সেই টুইটকে রি-টুইট করে ধন্যবাদজ্ঞাপন করেছেন। রাজ্যের পাশাপাশি এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
অধীরের উদ্যোগ
অধীরের কাছে ফোন আসছে উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, কেরল, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনে তাঁর মতো করে চেষ্টা করছেন নিদেনপক্ষে থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করতে। কে কোথায় আটকে আছেন, কী অবস্থায় আছেন, তা জেনে তিনি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকার ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।