‘টার্গেট বাঙালিরা! বাংলাকে অন্ধকারে রেখে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করছে বিজেপি’
কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকার পরিকল্পনা করে ৪০ লক্ষ মানুষকে জাতীয় নাগরিক পঞ্জির বাইরে রেখেছে বলে অভিযোগ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে অসমে টার্গেট করা হয়েছে বাঙালিদের। এই বাঙালি খেদাও অভিযানে নামা হয়েছে লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অনেকেরই পরিচয়পত্র রয়েছে। রয়েছে আধারকার্ড। সেইসমস্ত পরিচয়পত্র দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, শুধু নাম-পদবি দেখে বেছে বেছে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ৪০ লক্ষ মানুষকে। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে বাদ দেওয়া হয়েছে বাংলা ভাষী মানুষকে। বাদ পড়েছেন বিহারীরাও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এ ধরনের মানবতা বিরোধী কাজ তাঁরা বরদাস্ত করবেন না। তিনি এ ব্যাপারে নিজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। মমতা বলেন, ওরা কেউ রোহিঙ্গা নয়, ওদের পরিকল্পনা করে উদ্বাস্তু করে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ যদি ওদের না নেয়, তবে কী হবে নিজভূমে পরবাসী হওয়া মানুষগুলোর? প্রশ্ন তোলেন মমতা।
সেই কারণেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে অসমবাসীর পাশে থাকার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জি থেকে ৪০ লক্ষ নাম বাদ পড়া প্রসঙ্গে মমতা হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপিকে। তিনি বলেন, মানবতা আর আগুন নিয়ে খেলবেন না। মনে রাখবেন ওরা কেউ উদ্বাস্তু নয়, ওদের বেশিরভাবই এখানে চার-পাঁচ পুরুষ ধরে বাস করছে।
[আরও পড়ুন:বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলাতেও গলাধাক্কা 'রিফউজি'দের! মমতাকে হুঁশিয়ারি দিলীপের]
মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, বেছে বেছে বাঙালি খেদাও করা হয়েছে। সেই কারণেই রাজ্যের মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পর্যন্ত জানানো হয়নি। তিনি বলেন, বাংলার সীমানা অসম লাগোয়া। বাংলার উপর সবথেকে বেশি প্রভাব পড়বে, তাই কেন্দ্রের জানানো উচিত ছিল বাংলাকে। আর তা না করে বাংলাকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই কাজ করা হল। কেন্দ্রের উচিত ছিল বাংলার সঙ্গে এ ব্যাপারে আগে বৈঠক করা।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ না নিলে কোথায় যাবে ওরা! 'নিজভূমে পরবাসী'রা আমার ভাই-বোন, বার্তা মমতার]