বিজেপির কাছে মানতে হয়েছে হার, কলমকে হাতিয়ার করে মমতা লিখলেন 'মানি না'
৪২-এ ৪২ হয়নি। কমে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বঙ্গে উত্থান হয়েছে বিজেপি। এক লাফে ২ থেকে ১৮। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্রয় করেছেন সংস্কৃতি-চর্চাকে।
৪২-এ ৪২ হয়নি। কমে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বঙ্গে উত্থান হয়েছে বিজেপি। এক লাফে ২ থেকে ১৮। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্রয় করেছেন সংস্কৃতি-চর্চাকে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সিন্থেসাইজারে সুর তুলছেন, আর কলম ধরে লিখে চলেছেন একের পর এক কবিতা। এবার তিনি লিখলেন- 'মানি না'।
না, এবার শুধু বাংলায় নয়, হিন্দি-ইংরাজিতেও তিনি এই কবিতা লিখে ফেসবুকে নিজের পেজে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন- সাম্প্রদায়িকতার রঙ আমি/বিশ্বাস করি না/সর্ব ধর্মেই সর্ব উগ্রতা-নম্রতা আছে। নির্বাচনে আশাতীত সাফল্য না পেয়ে মমতা এভাবেই তাঁর বার্তা দিচ্ছেন।
এর আগেও তিনি কবিতার মধ্যে দিয়ে তাঁর প্রতিবাদ তিনি পৌঁছে দিয়েছেন। কথায় নয়, প্রতিবাদ করেছেন কলমে। কবিতায় গর্জে উঠেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলম। শেষ দফা ভোটের আগে তিনি লিখেছিলেন তিন-তিনটি কবিতা। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে 'লজ্জিত' আর তারপরই 'অবিশ্বাস্য কালো', 'চেনা নয়' ও 'জরুরি'।
এবার তিনি লিখলেন 'মানি না'। কী মানেন না, কী বিশ্বাস করেন না, তা ছত্রে ছত্রে বর্ণনা করলেন, জানালেন তিনি কী মানেন, কী বিশ্বাস করেন। কী হবে ভবিষ্যতের পথ। এবার তিনি দলের নেতাদের সঙ্গে বসবেন, আলোচনা করবেন- কেন এই ভরাডুবি, কী হবে উত্তরণের পথ।
বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসার পর তিনি লিখেছিলেন 'জরুরি'। ইভিএম গণনার পরে ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখা নিয়ে বিরোধী ২১ দলের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল কমিশন। কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের পরই দুপুরে কবিতা পোস্ট করে মমতার শ্লেষ-বার্তা দেন। মমতা লেখেন- সবই জরুরী/কিছু কথা ছিল/ওটাও জরুরী/মধ্য রাতে সিদ্ধান্ত/ওটাও জরুরী/ভিলেনের মাঠে এ খেলা/তাও জরুরী/বিচারে বিধ্বস্ত/ওটাও জরুরী। তাঁর এহেন প্রতিবাদ চলছেই।