বাংলায় করোনা পরিস্থিতি, চিকিৎসা হতে পারে বাড়িতেও! পরামর্শ দিলেন মমতা
বাংলায় করোনা পরিস্থিতি, চিকিৎসা হতে পারে বাড়িতেও! পরামর্শ দিলেন মমতা
করোনা মোকাবিলায় বাংলা যা করতে পেরেছে অন্যরা তা করতে পারেনি। পারেনি কেন্দ্রও। কেন্দ্র কোনও সিদ্ধান্তই দৃঢ়তার সঙ্গে নিতে পারছে না। তবে যা ইঙ্গিত তাতে স্পষ্ট লকডাউন আরও অনেকদিন বাড়ছে। এই অবস্থায় রাজ্যের তরফে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি বাড়িতে চিকিৎসার পরামর্শও দিলেন।
করোনা পরিস্থিত, চিকিৎসা হতে পারে বাড়িতেও
মমতা এদিন জানান, কেউ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করাতে চাইলে করাতে পারে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বাড়িতেই চলতে পারে চিকিৎসা। হোম কোয়ারেন্টাইন সবথেকে নিরাপদ। কেননা হাসপাতালে গেলে সেখানে অন্য রোগীর থেকে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একমাত্র যাঁরা খুব সংকটজনক তাঁদের হাসপাতালে চিকিৎসা চলতে পারে। চিকিৎসার পাশাপাশি কোয়ানেন্টাইন বাড়িতে হলেই নিরাপদ থাকবেন রোগী।
বাড়িতে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই
মমতা বলেন, রাজ্যে করোনা চিকিৎসা নিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার, আইসোলেশন সেন্টার ও পৃথক করোনা হাসপাতাল করা হয়েছে। কেন্দ্রের সহযোগিতা ভিন্ন রাজ্যের তরফে যথাসম্ভব পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। এই আঙ্গিকেই মমতার পরামর্শ কোয়ারেন্টাইন বলুন বা চিকিৎসা বাড়িও সবথেকে উপযুক্ত জায়গা। কেননা সেখানে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর সওয়াল
মমতা বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর বন্দোবস্ত করতে হবে। যদি আরও লকডাউ বাড়ে, তাতে পরিযায়ী শ্রমিকদের কী হবে, সেটা সর্বাগ্রে কেন্দ্রের ভাবা উচিত। তিনি মনে করেন পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে এনে পৃথক করে রাখার বন্দোবস্তই শ্রেয় পথ। মমতা বলেন, শ্রমিকদের ফেরানোর বন্দোবস্ত না করলে সংকট আরও বাড়বে।
রাজ্যকে ত্রিধারায় ভেঙে এগোবে মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, রাজ্যকে রেড, গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে ভাগ করে কাজ চলবে। রেড জোনে যাঁরা থাকছেন, তাঁদের নিজেদেরকেও দায়িত্ব নিতে হবে। সেখানে কড়া নজরদারি থাকবে। আর অরেঞ্জ জোনে একটু শিথিল করে দেওয়া হবে। গ্রিন জোনে আরও শিথিল থাকবে। মন্ত্রীগোষ্ঠী এই বিষয়টিতে নজরদারি চালাবেন।
করোনায় কমিটি গঠন মমতার
মমতা এদিন করোনা দেখভালের জন্য একটি কমিটি তৈরি করে দেন তিনি। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে চেয়ারম্যান করে তিনি পাঁচজনের ক্যাবিনেট কমিটি গড়েন। এই কমিটিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম ও চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে রেখেছেন তিনি। আর রেখেছন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে।
৩ মের পর লকডাউন বাড়বে কি! বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা মোদীর কাছে কোন আর্জি পেশ করলেন