চাকরির দাবি নিয়ে বাঁধল গোল! মুর্শিদাবাদের বাহালনগরে শ্রমিক পরিবারগুলিকে মমতা দিলেন নতুন উপদেশ
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাহালনগরে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মৃত পরিবারগুলির দাবি সরকারি চাকরির।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাহালনগরে কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় মৃত পরিবারগুলির দাবি ছিল সরকারি চাকরির। যদিও নিহত খামিরুদ্দিনের বাড়ি পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রী হতভাগ্য পরিবারগুলিকে আরও ৫০ হাজার টাকা করে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। এই টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ফের সাহায্যের ঘোষণা
২৯ অক্টোবর জঙ্গি হামলার মৃত্যুর পর বাহালনগরের গ্রামে দেহ পৌঁছনোর সময়েই রাজ্য সরকারের তরফে ৫ টি পরিবারের হাতে পাঁচলক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এর চেকও দেওয়া হয়ে গিয়েছে। বুধবার গ্রাম পরিদর্শনের সময় মুখ্যমন্ত্রী জানান, পরিবারগুলি যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে তার জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি বাংলা আবাস যোজনায় পরিবারগুলিকে দুই কামরার ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি খামিরুদ্দিন শেখের অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার যাবতীয় দায় রাজ্য সরকার নেবে বলেও জানানো হয়েছে।
ব্যবসা শুরুর পরামর্শ
বাহালনগর গ্রামে খামিরুদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে হতভাগ্য পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেন, যে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে, তা দিয়ে সবাই ব্যবসা শুরু করুন। তাতে নিজের পায়ে দাঁড়ানো যাবে বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী।
চাকরির আশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন
খামিরুদ্দিনের
স্ত্রী
এই
সময়
মুখ্যমন্ত্রীকে
বলেন,
তাঁর
তিনটি
মেয়ে
একটা
ছেলে।
সবাই
স্কুলে
পড়ে।
তিনি
কীভাবে
ব্যবসা
শুরু
করবেন,
প্রশ্ন
করেন।
তিনি
আরও
বলেন,
তাকে
চাকরির
দেওয়ার
আশ্বাস
দেওয়া
হয়েছিল।
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
চাকরির
আশ্বাস
তিনি
দেননি।
গ্রামেরই
বাসিন্দা
তৃণমূল
পঞ্চায়েত
সদস্য
মোস্তাফিজুর
রহমান
দাবি
করেন,
রাজ্যের
দুই
মন্ত্রী
শুভেন্দু
অধিকারী
এবং
ফিরহাদ
হাকিম
গ্রাম
পরিদর্শনের
সময়
চাকরির
আশ্বাস
দিয়ে
গিয়েছিলেন।
সেই
মতো
প্রশাসনের
কাছে
কাগজও
জমা
দেওয়া
হয়েছে।
তিনজনের
সেচ
দফতরে
আর
তিনজনের
কৃষি
দফতরে
চাকরির
আশ্বাস
নাকি
দেওয়া
হয়েছিল।
ওই
নেতার
আরও
দাবি,
শুভেন্দু
অধিকারী
বলেছিলেন
১০
ডিসেম্বরের
মধ্যে
চাকরি
হয়ে
যাবে।
চাকরির প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার ফিরহাদের
যদিও ফিরহাদ হাকিম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি ওই পরিবারগুলিকে চাকরির কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। এব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। এব্যাপারে সাগরদিঘির বিভিও জানিয়েছেন, সমর্থন প্রকল্পে ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ হলে তাঁদের চাকরি পাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।