এক সাক্ষাতেই শুভেন্দু ‘স্নেহের ভাই’ হলেন মমতার! বক্তৃতায় বাধা দেওয়ায় ধমক তৃণমূল বিধায়কদের
এক সাক্ষাতেই শুভেন্দু ‘স্নেহের ভাই’ হলেন মমতার! বক্তৃতায় বাধা দেওয়ায় ধমক তৃণমূল বিধায়কদের
বিধানসভায় নিজের ঘরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর উভয়ের মধ্যে মাত্র সাত মিনিটের সৌজন্য। সাক্ষাৎ। তাতেই বদলে গেল আবহ। শুভেন্দুকে ভরা বিধানসভায় 'স্নেহের ভাই' বলে সম্বোধন করলেন মমতা। তার আগে শুভেন্দুর বক্তৃতায় বাধা দেওয়ায় তৃণমূল বিধায়ককে ধমক দেন মমতা।
শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা হিসেবে তাঁকে সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। এরপর এদিন সংবিধান দিবসে গণতন্ত্রের পীঠস্থান বিধানসভায় সৌজন্য দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘরে বিরোধী দলনেতাকে ডেকে পাঠান। শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে বরাবরই রাজনৈতিক সৌজন্যের কথা বলতে শোনা যায়। তিনি এদিনও জানান, আমি সৌজন্যমূলক সাক্ষাতের জন্য ডেকেছিলাম। যেহেতু সংবিধান দিবস। যাতে উন্নয়নের কাজ সবাই মিলে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। তবে ওকে একাই ডেকেছিলাম। ও দু-জনকে নিয়ে আসে। ঠিকই আছে। শুভেন্দুকে অনুষ্ঠানে আসার অনুরোধ করেছিলেন। তবে ওই অনুষ্ঠানে তো গেল না। প্রণাম করেছে কিনা খেয়াল করিনি। তবে এদিকে এসেছিল। আমি ওর বাবাকে প্রণাম জানিয়েছি।
তবে শুধু সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎই নয়, মুখ্যমন্ত্রী এদিন বিধানসভায় সাফ করে দেন, কেউ কোনও বক্তব্য রাখলে, তাঁকে যেন বাধা দেওয়া না হয়। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের সময় তৃণমূলের বিধায়করা বাধা দিলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধমক দিতে দেখা যায়। অরূপ বিশ্বাস দলীয় বিধায়কদের চুপ করতে বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথা মেনে সৌজন্য বজায় রাখার কথা বলেন।
শুক্রবার বিধানসভায় সংবিধান দিবস পালন করা হয়। আর তা নিয়ে বলতে শুরু করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তবে শুভেন্দুর বক্তব্যে প্রথম থেকে শেষপর্যন্ত ছিল রাজ্য সরকারকে খোঁচা দেওয়া কথাবার্তা। তাই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা শোরগোল শুরু করেন। তা দেখে ধমক দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, কেউ বাধা দেবে না। সবাই চুপ করে থাকো। এক ধমকেই সব গোলমাল থেমে যায়।
এদিন বিরোধী বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর কথার জবাব দেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন সরকারি হাসপাতলে দালালরাজ নিয়ে। অগ্নিমিত্রা পালের বক্তৃতা করার সময় টিপ্পন শুরু হলেও মমতা বিধায়কদের সতর্ক করে দেন। গণতন্ত্রের পীঠস্থানে সংবধান দিবসে মমতা বারবার বুঝিয়ে দিলেন তিনি গণতন্ত্র মেনেই চলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী একই সঙ্গে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বিরোধীদের গুরুত্ব দেওয়া হয় না এই অভিযোগ ঠিক নয়।
সংঘাত বদলে গেল সৌজন্যে! মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে 'এক টেবিলে’ হাজির শুভেন্দু