রাজ্যের ক্ষমতায় হস্তক্ষেপ করছে মোদী সরকার, প্রতিবাদে সরব মমতা
কলকাতা, ২০ অগাস্ট : কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে তুলে ফের একবার সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র, রাজ্যের অর্থ দফতরে নিজের লোক ঢুকিয়ে সংবিধানকে অস্বীকার করছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এমনই অভিযোগ তুলেছেন মমতা।[কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বিয়েতে 'দিদিমণির' অনন্য উপহার!]
শনিবার তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন। এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, রাজ্যের কাজে হস্তক্ষেপ করে রাজ্যগুলির যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে কেন্দ্র ভেঙে দিতে চাইছে। কাশ্মীরে অশান্তির জন্যও তিনি সরাসরি মোদী সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন।[গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে নাম করে দলীয় নেতা-নেত্রীদের হুঁশিয়ার করলেন মমতা]
রাজ্যের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত যদি কেন্দ্র বন্ধ না করে তাহলে পথে নেমে প্রতিবাদেরও হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন দেশে একনায়কতন্ত্র চলছে বলে নরেন্দ্র মোদীর নাম না নিয়ে কটাক্ষও করেন তিনি।
রাজ্যের অর্থনীতি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বহুবার সরব হতে দেখা গিয়েছে। তবে এদিন একরকম তিনি কেন্দ্র সরকারকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বলা যায়। সিবিআই এবং ইডিকে হাতিয়ার করে কেন্দ্র রাজ্যের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ মমতার। যার ফলে প্রায় ৭০ হাজার শিল্পপতি দেশত্যাগ করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
এদিন কেন্দ্রের সমালোচনা করতে গিয়ে একেবারে বিস্ফোরক ছিলেন তৃণমূলনেত্রী। তিনি বলেন, "প্রথমবার ক্ষমতায় এসে এত দম্ভ কিসের? প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে বিদেশি বিনিয়োগের আওতায় নিয়ে এসে দেশকে বিক্রি করে দিয়েছে কেন্দ্র।" এছাড়াও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে নিয়ে করা ট্যুইটের প্রসঙ্গ নিয়ে বলতে গিয়ে বলেন, কেন্দ্র এই নিয়ে জেনেশুনে চক্রান্ত করছে।[বদলে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের নাম! নতুন নাম পাবে রাজ্য]
এদিন মমতা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামকরণের বিষয়টি নিয়েও তিনি মুখ খোলেন। তাঁর মতে এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য়কে ৪০ শতাংশ অর্থ ব্যয় করতে হয়। অথচ নাম হয় বিজেপি সরকারের। এটা হতে পারে না। এমন চলতে তাকলে সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে অভিযোগ জানাবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছেন। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রী পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্র যদি তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসে তাহলে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পাশাপাশি তিনি রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপও দাবি করবেন।