কমিশনের নির্দেশ মানতে রাজি, তবু কমিশন গলদ বললেন মমতা
মমতা এদিন জানালেন, কমিশনের নির্দেশ মেনে ওই আট পুলিশকর্তা ও আমলাকে নিয়োগ করা হবে ঠিকই। কিন্তু নির্বাচন পর্ব মিটে গেলে অপসারিত অফিসারদের ফের তাদের নির্দিষ্ট জেলা ও পদে নিয়োগ করা হবে। মঙ্গলবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে একথা জানিয়ে দেন মমতা।
মমতা জানালেন, নতুন অফিসারদের নিয়োগ করায় তাঁর কোনও অসুবিধা হবে না। কারণ রাজ্য়ের সমস্ত আমলাদের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রয়েছে তাঁর। তবে যাঁদের অপসারণ করা হল তাঁদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে এই সময়টুকু নিজের সঙ্গে রাখবেন মুখ্য়মন্ত্রী।
যদিও কমিশনের সমালোচনা করতে ছাড়েননি মমতা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমি সম্মান করি। কিন্তু ওরা রাজনীতির খেলা খেলছেন। গৃহযুদ্ধ লাগাতে চাইছেন। এমনকী উপ নির্বাচন কমিশনার বিনোদ জুৎসির অপসারণেরও দাবী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নির্বাচন কমিশনকে আমি সম্মান করি। কিন্তু ওরা রাজনীতির খেলা খেলছেন : মমতা
প্রসঙ্গত, রবিবার কলকাতায় এসেছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পত। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। তখনই সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি, আরএসপি ইত্যাদি রাজনীতিক দলের তরফে অভিযোগ করা হয়, ছয়টি জেলার পুলিশ সুপার এবং একটি জেলার জেলাশাসক নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেন না। নির্বাচনী বিধি ভেঙে শাসক দলকে নানাভাবে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সেই ঘটনার তদন্ত করে নির্বাচন কমিশন জানায় পাঁচটি জেলার পুলিশ সুপার, একটি পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, একজন জেলাশাসক এবং দুইজন অতিরিক্ত জেলাশাসককে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার বদলে পাঁচ জনের নাম নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয় যাদের নিয়োগ করার নির্দেশ দেয় কমিশন।
কিন্তু তাতে বেঁকে বসেন মমতা। কমিশনের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গিয়ে জানিয়ে দেন, কমিশনের নির্দেশ তিনি মানবেন না। যদিও অবস্থা বেগতিক দেখে পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রদবদলের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করে দেখার জন্য কমিশনের কাছে আর্জি জানায় রাজ্য সরকার।
কিন্তু কমিশন নির্দেশ সম্পর্কে অনড় থাকে। জানিয়ে দেওয়াহয় বুধবার সকাল ১০ টার মধ্যে নির্দেশনামা বহাল না করলে করা পদক্ষেপ নেওয়া হবে রাজ্যের বিরুদ্ধে। এরপরই সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা জানান, কমিশনের চিঠির জবাবে বুধবার সকালে রাজ্য সরকারের তরফে চিঠি পাঠানো হবে। মানা হবে নির্দেশও। কিন্তু কমিশনের এই নির্দেশ অন্যায় বলেও সরব হন মমতা।