দু'বার ধর্ষিত যুবতীরও ছাড় নেই! পুলিশের বড়বাবু চাইলেন '৫০ হাজার টাকা'
ধর্ষিতার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন থানার বড়বাবু। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদায়।
একবার নয় দু'বার 'ইজ্জত' খোয়াতে হয়েছে যুবতীকে। ধর্ষকও একই যুবক। তবে সেজন্য পুলিশের সহমর্মিতা পাওয়া বা পাশে দাঁড়ানো দূরে থাক, উল্টে মেয়েটির পরিবারের কাছেই মিথ্যা মামলায় না ফাঁসানোর উপঢৌকন হিসাবে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন থানার বড়বাবু। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদায়।
নিগৃহীত যুবতী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। বাড়ি পুকুরিয়া থানার অন্তর্গত গ্রামে। গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৪ তারিখে সে কোচিং ক্লাস থেকে ফেরার পথে তাকে ধর্ষণ করে নূরজামান শেখ। রাস্তার পাশের ঝোপে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ, অভিযুক্ত তার ভিডিও তুলে রাখে। কাউকে কিছু জানালে এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায় নূরজামান। ফলে যুবতী কাউকে কিছু বলেনি।
তার মাসখানেক পরে ১৬ অক্টোবর দিদির বাড়ি যাওয়ার পথে মহিষবাথানির কাছে ফের একবার কিশোরীকে জোর করে তুলে নিয়ে নূরজামান ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এবার আর যুবতী চুপ না থেকে গোটা ঘটনা দিদি-জামাইবাবুকে জানায়।
জামাইবাবু নির্যাতিতাকে নিয়ে মালদহ থানায় যান। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা দায়ের হয়। তবে কিছুদিনের মধ্যেই অভিযুক্ত ছাড়া পেয়ে যায়। এদিকে নূরজামানের পরিবারে মিথ্যা মামলা দায়ের করে নির্যাতিতা যুবতীর পরিবারের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন:প্রতিবেশী দাদার ডাকে সাড়া দিয়ে বিপদে পা যুবতীর, নরেন্দ্রপুরে শোরগোল]
অভিযোগ, সেই মামলায় যাতে কাউকে ধরতে না হয়, সেজন্য পুলিশের বড়বাবু বিপুল সরকার ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সেই টাকা না দিতে পারায় নির্যাতিতা যুবতীর বাবা-দাদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বড়বাবুর টাকা চাওয়ার ঘটনা ভিডিও রেকর্ডিং করে রাখেন যুবতীর জামাইবাবু।
বাবা-দাদাকে গ্রেফতারের পরে ডিএসপি-র সঙ্গে গিয়ে দেখা করে অভিযোগ জানায় নির্যাতিতার পরিবার। যা শুনে সুপার ঘটনার সঠিক তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন।