মমতার নির্দেশে মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন মলয় ঘটক
নবান্নসূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে রাজ্যপাল এমকে নারায়ণনকে মলয় ঘটকের ইস্তফাপত্র গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান, কৃষি বিপণনমন্ত্রী অরূপ রায় মলয় ঘটকের দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানানো হয়েছে। তৃণমূলের দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনে হাওড়ার তৃণমূল প্রার্থী প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ে খুশি হয়ে পুরস্কারস্বরুপ কৃষি দফতরের অতিরিক্ত ভার অরূপ রায়কে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র কাছে হারেন দোলা সেন। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কাছে দোলা সেন অভিযোগ জানান, আসানসোলে প্রচার চালানোর সময় সহযোগিতা করেননি মলয় ঘটক। যদিও এখন দোলা সেনের বক্তব্য মলয় ঘটকের ইস্তফা প্রসঙ্গে কিছুই জানেন না তিনি।
মলয় ঘটকের দায়িত্ব সামলাবেন কৃষি বিরণন মন্ত্রী অরূপ রায়
আসানসোলের স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশের কথায় আসানসোলে দোলা সেনকে প্রার্থী করা নিয়ে স্থানীয় তৃণমূলের অন্দরেই একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। দোলা সেন বহিরাগত হওয়াতেই মূলত ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছিল। আসানসেল থেকে দোলা সেনকে দাঁড় করানোর পিছনে তৃণমূলের যুক্তি ছিল দোলা শ্রমিক সংগঠনের ডাকাবুকো নেত্রী। আসানসোল হল ক্ষুদ্র ও মাঝারি আয়তনের শিল্পের কেন্দ্র। সেই কারণে এই কেন্দ্রে দোলাকে প্রার্থী করাটা প্রাসঙ্গিক।
কিন্তু স্থানীয় সূত্রের খবর, দোলা সেনকে প্রার্থী করায় খুব একটা খুশি ছিলেন না মলয়বাবু। এর ফলে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দোলা সেনের একটা দূরত্ব রয়েই গিয়েছিল। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও পরিস্থিতির কোনও রকম উন্নতি হচ্ছিল না।
এদিকে তাঁর সমর্থনে প্রচারেও খুব একটা খুশি ছিলেন না দোলা। ৩০ এপ্রিল এবং ৫ মে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, মিঠুন চক্রবর্তী থাকা সত্ত্বেও প্রচার সভায় তেমন লোক টানতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস।
৪ মে বাবুল সুপ্রিয়র সমর্থনে মোদীর জনসভায় যেখানে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষের ভিড় হয়েছিল, সেখানে একই জায়গায় মুকুল রায়-মিঠুন চক্রবর্তীর উপস্থিতি সত্ত্বেও লোক হয়েছিল মাত্র ১৫০০০।