রাজ্য মন্ত্রীসভায় রদবদলের সিদ্ধান্ত, গুরুত্ব কমছে ব্রাত্য বসুর
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাজকর্ম নিয়ে সন্তুষ্ট নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লথ গতিতে কাজকর্ম, টেট দুর্নীতি ইত্যাদি কারণে দলেই কিছুদিন ধরে সমালোচিত হচ্ছিলেন ব্রাত্যবাবু। তাই শিক্ষা দফতর তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হতে পারে বলে খবর। পরিবর্তে তিনি পেতে চলেছেন কম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন দফতর। ব্রাত্যবাবুর জায়গায় নিয়ে আসা হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এখন তিনি তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন।
এর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসে পার্থবাবুর হাত থেকে শিল্প দফতর কেড়ে নিয়ে তা দেওয়া হয়েছিল অমিত মিত্রকে। এখন অমিত মিত্র অর্থ ও শিল্প, দু'টি দফতরের দেখভাল করেন। ঠিক হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের দায়িত্ব আপাতত সামলাবেন অমিত মিত্র। অর্থাৎ অমিত মিত্র এ বার তিনটি দফতরের দায়িত্ব সামলাবেন।
এই মুহূর্তে পর্যটনমন্ত্রী পদে রয়েছেন মালদহের কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। তাঁকে দেওয়া হবে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতর। অন্যদিকে, মন্ত্রীসভার রদবদলে কোপ পড়তে চলেছে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বিরোধী বলে পরিচিত সাবিত্রী মিত্রের ওপর। তিনি এখন নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের দায়িত্বে আছেন। এই দফতরটির দায়িত্ব দেওয়া হবে শশী পাঁজাকে।
সাবিত্রী মিত্রকে দফতরবিহীন হয়েই থাকতে হবে। ওয়াকিবহাল মহলের খবর, লোকসভা ভোটে মালদহে খারাপ ফল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই জেলায় ভোট দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ও সাবিত্রী মিত্র। পরে কৃষ্ণেন্দুবাবু অভিযোগ করেন, সাবিত্রী মিত্রের অসহযোগিতার জন্যই মালদহ জেলার দল এত খারাপ ফল করেছে। এ কারণে সাবিত্রী মিত্রের ওপর শাস্তির খাঁড়া নেমে আসছে বলে অনুমান। যদিও তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।