মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের বিধায়ক খুনের তদন্তে সাফল্য, ঝাড়খণ্ড সীমান্তে মূল অভিযুক্ত
vনদিয়ার বিধায়ক খুনের ঘটনায় অবশেষে মিলল সাফল্য। পুলিশের কড়া নজরদারি এড়িয়ে পালাতে পারল না মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারি।
নদিয়ার বিধায়ক খুনের ঘটনায় অবশেষে মিলল সাফল্য। পুলিশের কড়া নজরদারি এড়িয়ে পালাতে পারল না মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারি। পুলিশ সূত্রে খবর সোমবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের রাধামোহনপুর গ্রামে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এক আত্মীয় বাড়িতে লুকিয়ে ছিল অভিজিৎ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ রাধামোহনপুরে সেই আত্মীয় বাড়িতে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অভিজিৎ-কে গ্রেফতার করে পুলিশ গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়।
৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নদিয়ার ফুলবাড়িতে সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। যেখানে এই ঘটনা ঘটে সেখান থেকে সত্যজিৎ-এর বাড়ির কয়েক শ'গজ। সত্য়জিৎ-এর খুনের ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই সেখানে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়িকা রত্ন ঘোষ কর। তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রদীপব প্রজ্বলনও করেন। সেখান উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। মন্ত্রী রত্না ঘোষ কর বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সত্যজিৎ-কে গান-পয়েন্টে রেখে কপালে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েছিলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। তাঁর পাশেই বসেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত। তাঁদের হতবম্ভ অবস্থার সুযোগ নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক খুনে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ স্থানীয় ছেলে অভিজিৎ পুণ্ডারি-কে মূল অভিযুক্ত বলে প্রতিপন্ন করে। এলাকার আরও ২ যুবককে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল অভিজিৎ। সে বিজেপি-র কর্মী বলে তার পরিবারের দাবি। অভিজিৎ-এর খোঁজে সমানে তল্লাশি চলছিল। এমনই সময় পুলিশ গোপন সূত্রে অভিজিৎ-এর আত্মগোপনের জায়গা খুঁজে পায়। অভিজিৎ কি কারণে বিধায়ককে খুন করল তা এবার জানা যাবে বলে করছে সিআইডি।