এখনও ধরা পড়েনি শ্যামল কর্মকার, অনশনে বামনগাছির বাসিন্দারা
শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ শ্যামল কর্মকার ও তার শাগরেদরা তুলে নিয়ে যায় প্রতিবাদী যুবক সৌরভ চৌধুরীকে। শনিবার সকালে দত্তপুকুর ও বামনগাছি স্টেশনের মাঝখানে তার দেহ পাওয়া যায়। ন'টুকরো করে রেললাইনে ফেলে দিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এখনও পর্যন্ত পুলিশ শুধু এক অভিযুক্ত অনুপ তালুকদারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তাও স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ধরে তুলে দেয় পুলিশের হাতে। মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকারকে শনিবার সকালেও এলাকায় ঘুরতে দেখা গিয়েছে। তার পর থেকে তার হদিশ নেই। তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: যুবক খুনের পর ফুঁসছে বামনগাছি আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই, তাই সিবিআই তদন্ত চাইল বিজেপি
পুলিশি ঔদাসীন্যকে দায়ী করে গতকালই সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিল বিজেপি। এ দিন বামনগাছির বাসিন্দারাও একই দাবি জানান। পাশাপাশি, রাজ্য সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নেন বামনগাছির মানুষ।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি সৌরভের ছিন্ন বাঁ হাতটি। সেটি কোথায় গেল, তা খুঁজে দেখছেন স্থানীয় মানুষই। সোমবারও গোটা দিন থমথমে বামনগাছি এলাকা। সাধারণ মানুষ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের এলাকায় ঢুকতে বাধা দেন এ দিন। কারণ অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকার শাসক দলের মদতপুষ্ট বলে অভিযোগ। তাই রোষ আছড়ে পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে। যদিও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, শ্যামল কর্মকার সিপিএম ও বিজেপি নেতাদের ঘনিষ্ঠ। তাই এই খুনের পিছনে সিপিএম এবং বিজেপি-র মদত রয়েছে। পাশাপাশি, সৌরভ চৌধুরীর বাবা সরোজ চৌধুরী সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেও তা উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয়বাবুর মতে, কথায় কথায় সিবিআই চাওয়া ঠিক নয়। কুকুর কামড়ালেও এখন লোকে সিবিআই চাইছে!
এদিকে, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথার জবাবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, "ভুল বকাটা তৃণমূল নেতাদের স্বভাব। আমি বলছি, উনি এটা প্রমাণ করে দেখান। অথচ শাসক দলের সঙ্গে যে শ্যামল কর্মকারের ওঠাবসা ছিল, সেই তথ্য আমাদের কাছে আছে। সৌরভ চৌধুরী খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে।"