পুরুলিয়া-কাণ্ডে সূচবিদ্ধ শিশুর মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ! সনাতনের সন্ধানে উত্তরপ্রদেশে পুলিশ
মঙ্গলাকে জিজ্ঞাসা করে সনাতন কোথায় যেতে পারে সেই গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এক সপ্তাহের বেশি বেপাত্তা সনাতন। পুলিশের কাছে চিন্তার কারণ এখন সেটাই।
পুরুলিয়া সূচবিদ্ধ শিশুর মৃত্যুতে এখনও মূল অভিযুক্ত সনাতন ঠাকুরের নাগাল পেল না পুলিশ। তবে গ্রেফতার করা হল শিশুটির মা অন্যতম অভিযুক্ত মঙ্গলাকে। তার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শনিবার দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করার পর কথায় অসঙ্গতি মেলায় তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা গ্রেফতার করে মঙ্গলাকে
এদিকে মূল অভিযুক্ত সনাতন ঠাকুরের সন্ধানে উত্তরপ্রদেশে পাড়ি দিয়েছে পুরুলিয়া পুলিশের একটি দল। পুলিশ মনে করছে রাজ্য ছেড়ে উত্তরপ্রদেশে পালিয়েছে সনাতন। মঙ্গলাকে জিজ্ঞাসা করে সনাতন কোথায় যেতে পারে সেই গোপন আস্তানার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এক সপ্তাহের বেশি বেপাত্তা সনাতন। পুলিশের কাছে এখন সেটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তদন্তকারীরা পুরুলিয়ার সূচকাণ্ডে মঙ্গলার পাশাপাশি মঙ্গলার মা মাধুরী মহন্তকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। মঙ্গলার বয়ানের সঙ্গে তার মায়ের বয়ান মিলিয়েই সত্য নির্ধারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। পুলিশের কাছে এটা পরিষ্কার যে, সনাতনের হাতে নারকীয় নির্যাতনের শিকার হয়েই শিশুটি মারা যায়। শুধু যৌন নির্যাতনই নয়, ওই শিশুকে সূচবিদ্ধ করে অত্যাচার চালানো হয়। অভিযোগ, মা সমস্ত ঘটনা জানা সত্ত্বেও নীরব ছিল। সনাতনের নির্যাতনের কোনও প্রতিবাদ করেনি।
পুলিশ
তদন্তে
নেমে
জানতে
পেরেছে,
দোলযাত্রার
সময়
থেকেই
মঙ্গলা
আশ্রয়
নিয়েছিল
সনাতনের
বাড়িতে।
তারপর
থেকেই
অত্যাচার
চলত
শিশুটির
উপর।
সনাতনের
বিকৃত
যৌন
লালসার
শিকার
হয়েছিল
ছোট্ট
শিশুটিও।
তার
জেরেই
অকালে
শেষ
হয়ে
গেল
একটা
প্রাণ।
মায়ের
সবথেকে
বড়
অপরাধ,
শিশুটির
উপর
নির্যাতনের
কথা
জেনেও
নীরব
থাকা।
প্রতিবেশীরা
জানান, ছোট্ট শিশুকন্যার উপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হচ্ছে- এই সন্দেহ হওয়াতেই পুলিশকে খবর দেন তাঁরা। এরপরই শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়। চিকিৎসকরা শিশুটিকে পরীক্ষা করে তাজ্জব বনে যান। শেষপর্যন্ত এসএসকেএমে সফল অস্ত্রোপচারে শরীর থেকে সাতটি সূচ বের করা হয়। কিন্তু শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ঘটনার জানাজানি হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা সনাতন।