ধরা পড়ল ভাদু শেখ খুনের মূল অভিযুক্ত, গ্রেফতার সেই বগটুই থেকেই
Array
ভাদু শেখ খুন কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ল সিবিআইয়ের জালে। ঘটনার এই মাস্টার মাইন্ডের নাম ফয়জুল খান ওরফে পলাশ। তাকে অনেক দিন ধরেই ধরার চেষ্টা করছিল, কিন্তু কিছুতেই ধরা যাচ্ছিল না। ট্র্যাক করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। গতকাল রাতে ফয়জুলের টাওয়ার ট্র্যাকে আসে। সেই টাওয়ার লোকেট করে পুলিশ দেখে যে, সেটা বগটুই গ্রাম। দ্রুত অ্যাকশন নেওয়া হয়। তাকে গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। আজ তাকে রামপুরহাট আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
মাস্টার মাইন্ড
জানা গিয়েছে যে ফয়জুক ওরফে পলাশই হল ওই খুনের ,মূল পরিকল্পনাকারী। সে সবকিছুর ছক কষে দিয়েছিল। সিবিআই তাকে খুঁজছিল। এতদিন সে ওই ঘটনার পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বলে জানিয়েছে সিবিআই। স্থান পরিবর্তন তো করছিলই। তার পাশাপাশি সে গোয়েন্দাদাএর চোখে ধুলো দিতে চাইছিল। তাই একাধিকবার বদলে ফেলেছিল সিম কার্ড।
শেষরক্ষা হল না
কিন্তু শেষরক্ষা শেষ পর্যন্ত হল না। টাওয়ার লোকেশন নাগাড়ে তাকে করে যাওয়া হচ্ছিল সেটা তার ধরানার বাইরে ছিল। সেই ট্র্যাকে রেখেই জালে পড়ল পলাশ। শেষ পর্যন্ত সিবিআই গোয়েন্দারা তাকে গ্রেফতার করে বগটুইয়ের গ্রাম থেকে মঙ্গলবার রাতে ।
বোমা মেরে খুন
গত ২১ মার্চ রাতে বীরভূম জেলার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় পলাশ ভাদু খুনের সময় বোমা মারে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সিন্ডিকেটের টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ভাদুর সঙ্গে পলাশের দ্বন্দ্ব ছিল। আর তা নিয়ে বিবাদের জেরে খুন হন ভাদু। মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতারের পর বুধবার রামপুরহাট আদালতে তোলা হবে পলাশকে। আদালতে তুলে সিবিআই ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে।
মৃত্যু হয় ভাদু শেখের
গত ২১ মার্চ বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই মোড়ে মৃত্যু হয় ভাদু শেখের। তাঁকে বোমা মেরে খুন করা হয়। বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই একেবারে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
একের পর এক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। একেবারে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঘরেই একেবারে ঝলসে মৃত্যু হয় সাতজনের। এমনকি পরে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। সেই তালিকাতে একাধিক শিশু এবং মহিলা ছিল। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ প্রশাসন। এমনকি তৃণমূলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে বাধ্য হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রাজ্য পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরবর্তীকালে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্ত ভার নেয় সিবিআই।