ঘুম থেকে উঠতে দেরি, নাবালিকা পরিচারিকা মাথা ফাটিয়ে আটক জয়েন্ট বিডিও’র স্ত্রী
জয়েন্ট বিডিও-র বাড়়িতে পরিচারিকা নিয়োগ হয়েছিল শিশুকে দেখভালের জন্য। কিন্তু তাঁকে দিয়েই করানো হত বাড়ির সমস্ত কাজ। আর একটা ছোট্ট ভুল করলেই অমানবিককাণ্ড ঘটানো হত।
পান থেকে চুন খসার উপায় ছিল না। তাহলেই জুটত মারধর। নাবালিকা পরিচারিকাকে মারধরের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল খোদ জয়েন্ট বিডিও-র স্ত্রী ও মায়ের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় নাবালিকা পরিচারিকাকে উদ্ধার করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে। এরপরই নাবালিকা পরিচারিকাকে মারধর করার অভিযোগে জয়েন্ট বিডিও-র স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে।
জয়েন্ট বিডিও-র বাড়়িতে পরিচারিকা নিয়োগ হয়েছিল শিশুকে দেখভালের জন্য। কিন্তু তাঁকে দিয়েই করানো হত বাড়ির সমস্ত কাজ। আর একটা ছোট্ট ভুল করলেই অমানবিককাণ্ড ঘটানো হত। পরিচারিকার কপালে জুটত মারধর। সেই মারধর মাঝেমধ্যেই অমানবিকতার পর্যায়েও পৌঁছে যেত।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর ১৩-র ওই কিশোরীর ঘুম থেকে উঠতে আধ ঘণ্টা দেরি হয়েছিল। এই ছিল অপরাধ। তার জন্যই তাকে মারধর করেন আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের জয়েন্ট বিডিও অংশুমান দত্তের স্ত্রী ও মা। জয়েন্ট বিডিও স্ত্রী শুভ্রা দত্তকে আটক করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, সাঁড়াশি দিয়ে মারা হয়। মারের চোটে ফেটে যায় মাথা। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি ,করেন স্থানীয়রা। নাবালিকা পরিচারিকার বাড়ি আলিপুরদুয়ারের রাজাভাতখাওয়ায়। বাবা-মা নেই। মামার বাড়িতে থাকত পাঁচ-ভাইবোনের সঙ্গে।
কয়েকমাস আগে জয়েন্ট বিডিও তাকে আধার কার্ড ও বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজের বাড়িতে এনেছিলেন। কালচিনির বিডিও অংশুমান দত্ত তার বিয়ে দেবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখা হয়নি। উল্টে তাকে দিয়ে কাজ করানো হত বাড়ির।