মহুয়ার চ্যালেঞ্জ ‘বর্ষীয়ান’দের মানিয়ে নিয়ে চলা, নইলে বিদ্রোহের আগুনে বুমেরাং হবে
মহুয়ার চ্যালেঞ্জ ‘বর্ষীয়ান’দের মানিয়ে নিয়ে চলা, নইলে বিদ্রোহের আগুনে বুমেরাং হবে
মহুয়া মৈত্রকে নদিয়া জেলার মুখ করে তুলতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে লড়াই করে তিনি কৃষ্ণনগরে জয় ছিনিয়ে এনেছিলেন, মমতা সেই লড়াইকেই হাতিয়ার করে তুলতে চাইছেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের। সেজন্যই তাঁকে বড় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মহুয়া দায়িত্ব পেতেই নতুন করে সংকট তৈরি হয়েছে তৃণমূল পরিবারে।
তৃণমূলে বড় বাধা অন্তর্কলহ
তৃণমূল কংগ্রেসে সবথেকে বড় বাধা দলের অন্তর্কলহ। এই অন্তর্কলহকে কাজে লাগিয়েই ২০১৯-এ ভালো ফল করতে সম্ভবপর হয়েছিল বিজেপি। ২০২১-এর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বার্তা দিয়েছিলেন দলের মধ্যে কোনও লড়াই না রাখতে। তবু রদবদলের পর মহুয়া মৈত্র পুরো জেলার দায়িত্বে আসতেই তৃণমূলে শুরু হয়েছে কোন্দল।
মহুয়া মৈত্রের কাছে চ্যালেঞ্জ
লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর থেকে জয় পান মহুয়া মৈত্র, তবে রানাঘাট কেন্দ্রে হারতে হয় তৃণমূলকে। ভোটের পর দলের সংগঠনকে ভেঙে দু-ভাগ করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগরের দায়িত্ব দেওয়া হয় মহুয়া মৈত্রকে আর রানাঘাটের দায়িত্ব দেওয়া শঙ্কর সিংকে। এবার ২০২১-এর আগে ফের দুই সংগঠনকে জুড়ে নদিয়া জেলার তৃণমূল সভাপতি করা হয় মহুয়া মৈত্রকে।
শঙ্কর সিংয়েরপ ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
ফলস্বরূপ বর্ষীয়ান নেতা শঙ্কর সিং পদ হারান। তবে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতির পদ হারালেও তাঁকে রাজ্য সহ সভাপতি করা হয়। এরপর জেলার রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের মধ্যে অন্তর্কলহ তৈরি হয়েছে। মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয়েছে অনেকের।
মহুয়াকে সবাইকে নিয়ে চলতে হবে
আগেই কৃষ্ণনগরের একাধিক বর্ষীয়ান নেতা ও বিধায়কের সঙ্গে মহুয়ার সম্পর্ক ক্রমশই অবনতি হয়েছিল। আবার পূর্ণাঙ্গ জেলার দায়িত্ব পাওয়ার পর রানাঘাটেও শঙ্কর সিংয়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হতে পারে। শঙ্কর সিংয়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কই ছিল। কিন্তু কৃষ্ণনগরের বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পর মহুয়ার সঙ্গে এবার দূরত্ব বাড়তে পারে শঙ্কর সিংয়েরও, এমন আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল।
মহুয়ার যাত্রা শুরু বড় দায়িত্বে
এখন দেখার মহুয়া মৈত্র কীভাবে পুরো বিষয়টি হ্যান্ডেল করেন। রবিবারই তিনি জেলা তৃণমূলের বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শঙ্কর সিং থেকে শুরু করে, উজ্জ্বল বিশ্বাস, গৌরীশঙ্কর দত্ত, রিক্তা কুণ্ডুদের মতো নেতারাও। তাঁরা প্রত্যেকেই একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন। দল যা দায়িত্ব দিয়েছে, সেইমতো কাজ করতেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে দল।
করিমপুরের পথেই ২০২১-এ জয় আসবে নদিয়ায়! দায়িত্ব পাওয়ার পরেই কাজ শুরু আত্মবিশ্বাসী মহুয়ার