'যতই প্রভাবশালী হোন ধরা পড়বেই', তোলাবাজি ইস্যুতে মমতার পথে হেঁটেই বার্তা মহুয়া'র
কাউকে রেয়াত করা হবে না! দুর্নীতিতে জড়ালে রঙ না দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পুলিশ প্রশাসনকে। এমনকি অভিযুক্ত যদি অনেক বড় নেতাই হন না কেন তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্
কাউকে রেয়াত করা হবে না! দুর্নীতিতে জড়ালে রঙ না দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ পুলিশ প্রশাসনকে। এমনকি অভিযুক্ত যদি অনেক বড় নেতাই হন না কেন তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই নির্দেশ পুলিশ প্রশাসনকে তিনি অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দিচ্ছেন।
তাঁর এই বার্তা সামনে আসনে পরেই কার্যত নড়েচড়ে বসেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এহেন বার্তা'র পরেই ফেসবুক পোস্ট কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। আর সেখানে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা যেন নির্ভয়ে তাঁর অফিসে কিংবা পুলিশে গিয়ে অভিযোগ জানান।
মহুয়া মৈত্র তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখছেন, ''মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বার বার বলছেন যে দলকে সামনে রেখে কোনো রকমের তোলাবাজি করা যাবে না - চাকরি দেওয়ার নাম করে, TET প্যানেল এ নথিভুক্ত করার নাম করে, সরকারি কাজ করিয়ে দেওয়ার নাম করে কেউ বা কারা যদি মানুষকে প্রতারণা করে তবে নির্ভয়ে এখুনি পুলিশ বা আমার অফিস এ লিখিত অভিযোগ করুন।
ভয় পাবেন না। চোর, প্রতারককে ভয় করার কোনো কারণ নেই। যতই প্রভাবশালী হোক না কেন এক দিন না একদিন ধরা পড়বেই - তাই দয়া করে এগিয়ে আসুন - চলুন এই চক্র গুলিকে বন্ধ করি। ''
তৃণমূল সাংসদের এহেন ফেসবুক পোস্ট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি তাঁর লোকসভা কেন্দ্রেই দুর্নীতির বেশ কয়েকটি অভিযোগ সামনে এসেছিল। এমনকি খোদ তেহট্ট বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ সামনে আসে। চাকরি দেওয়ার নাম করে মোটা অঙ্কের টাকা তোলার অভিযোগ।
সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরালও হয়ে গিয়েছে। আর তা ভাইরাল হওয়ার পরেই চরম অস্বস্তি শাসক তৃণমূল।
বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। যদিও এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে শাসকদল। ইতিমধ্যে পুলিশকে এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এমনকি শাসকদলের তরফেও বিষয়টি কড়া ভাবে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই অস্বস্তির মধ্যে তৃণমূল সাংসদের এমন কড়া বার্তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহালমহল। তবে হঠাত এই টুইট ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, মিহুয়া মৈত্র হিঠাত করে বিদ্রোহিণী হয়ে ওঠেন। আবার চুপ হয়ে যান। ঘটনা ঘটলে গর্জে ওঠেন। সন্তুষ্ট হয়ে গেলে চুপ হয়ে যান। দলটায় গুণ ধরেছে বলে দাবি বিজেপি নেতার।