শুভেন্দুর হাতে গড়া পঞ্চায়েতে আজব জোট! তৃণমূলের পঞ্চায়েতে নতুন প্রধান বিজেপির, উপপ্রধান সিপিএম-এর
শুভেন্দুর হাতে গড়া পঞ্চায়েতে আজব জোট! তৃণমূলের পঞ্চায়েতে নতুন প্রধান বিজেপির, উপপ্রধান সিপিএম-এর
বাংলার রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা। রাজ্যে শাসক তৃণমূল (Trinamool Congress)। অধিকাংশ পঞ্চায়েতে (Panchayat) ক্ষমতায় তৃণমূল। সেরকমই এক পঞ্চায়েতে দলের প্রধান ও উপপ্রধানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিজেপির (BJP) সদস্যকে প্রধান আর সিপিএম (CPIM)-এর সদস্যকে উপপ্রধান নির্বাচিত করেছে ঘাসফুলের বাকি সদস্যরা। যা নিয়ে তৃণমূলেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত এই পঞ্চায়েতর সঙ্গে নাম জড়িয়ে আছে বর্তমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ।
অপসারিত তৃণমূলের প্রধান ও উপপ্রধান
মালদহের রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তিনিই জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান। তাঁর এলাকার অধীনেরই মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতেই তৃণমূলের গরিষ্ঠতা রয়েছে। সেখানেই দুর্নীতির অভিযোগে প্রধান ও উপপ্রধানকে অপসারণ করেছে তৃণমূলের বাকি সদস্যরা। এদিন নিজের দলের সদস্যদের অনাস্থায় গদি হারিয়েছেন প্রধান ও উপপ্রধান। যা নিয়ে তৃণমূলেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অপসারিত দুই তৃণমূল নেতা স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন।
প্রধান বিজেপির, উপপ্রধান সিপিএম-এর
তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা দলের প্রধান ও উপপ্রধানকে সরিয়ে বিজেপির সদস্যকে প্রধান এবং সিপিএম-এর সদস্যকে উপপ্রধানের পদে বসিয়েছেন। নতুন প্রধান করা হয়েছে বিজেপির কৃষ্ণা সাহাকে। অন্যদিকে উপপ্রধান করা হয়েছে সিপিএম-এর লুতফুরনেসাকে। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।
২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে অবস্থান
২০১৮-র পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল প্রায় ৩৪ শতাংশ আসন জিতেছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। তবে ১৭ আসন বিশিষ্ট মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট হয়েছিল। নির্বাচনে ৮ টি আসন পায় নির্দলরা। ৩ টি তৃণমূল, আর বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম ২ টি করে আসন পেয়েছিল। এরপর পঞ্চায়েত গঠনের আগে তৎকালীন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিতিতে নির্দল ৮ সদস্য-সহ বিরোধী অধিকাংশ সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। সব মিলিয়ে ১৪ জনের সমর্থন পেয়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত গঠন করেছিল। প্রধান করা হয়েছিল কিরণ মাঝি আর উপপ্রধান ফিরদৌসী বেগমকে।
আজব জোট
বেশ কিছুদিন আগে প্রধান ও উপপ্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ আর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অনাস্থা এনেছিলেন ৯ জন সদস্য। এদিন প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনের সময় ১৬ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনে কিরণ মাঝি আর ফিরদৌসী বেগমের পক্ষে ৭ টি ভোট পড়ে আর বিজেপির কৃষ্ণা সাহা আর সিপিএম-এর লুতফুরনেসার পক্ষে পড়ে ৯ টি ভোট। প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনে অপ্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে এদিনের ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের মত পাওয়া যায়নি।