সরস্বতী পুজোর দিন আদিগঙ্গায় 'ঝাঁপ' শিক্ষকদের! মুখ্যমন্ত্রী মমতার বাড়ির সামনে বেনজির বিক্ষোভ
অনুমোদনহীন মাদ্রাসা এবং পার্শ্বশিক্ষকদের বেনজির বিক্ষোভ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে। এদিন নিজেদের দাবি জানাতে মুখ্য়মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান আন-এডেড মাদ্রাসার শিক্ষকরা। এরপরই আদিগঙ্গায় নেমে হাতে দাবি সম্মিলিত কাগজ উঁচিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। সেই সময় এই বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের জল থেকে টেনে তুলতে জলে নামে পুলিশও। তবুও শিক্ষকরা তাঁদের দাবিতে অনড় থাকেন।


কী ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী?
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে শিক্ষার বিস্তারে ১০ হাজার মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, এত বছর পার হয়ে যাওয়ার পর রাজ্যে মাত্র ২৩৫টি মাদ্রাসা অনুমোদন পেয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবি জানিয়ে অনেকবার আন্দোলন হয়েছে। হয়েছে অনশনও। কিন্তু, দাবি পূরণের বদলে মিলেছিল আরও প্রতিশ্রুতি।

কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি
অভিযোগ, কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। এমনকী অনুমোদন পাওয়া মাদ্রাসাগুলিও সরকারের কাছ থেকে কোনও প্রকার আর্থিক সাহায্য পায় না বলে অভিযোগ বেসরকারি মাদ্রাসাগুলির। তাই একাধিক দাবি-দাওয়া নিয়ে বহুদিন আগেই পথে নেমেছেন বেসরকারি মাদ্রাসার শিক্ষকরা। হাইকোর্টের অনুমতিক্রমে গত ১২ জানুয়ারি থেকে সল্টলেকে সিটি সেন্টারের অদূরে লাগাতার অবস্থান করে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি অনুমোদিত আন-এডেড মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

'অনুমোদনহীন আন-এডেড মাদ্রাসাগুলিকে অবিলম্বে অনুমোদন দিতে হবে'
তাঁদের দাবি, অনুমোদনহীন আন-এডেড মাদ্রাসাগুলিকে অবিলম্বে অনুমোদন দিতে হবে। আন-এডেড মাদ্রাসাগুলিকে বিল্ডিং গ্রান্টসহ অন্য সরকারি সুবিধা দিতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত মাদ্রাসা শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবিলম্বে বেতন দিতে হবে। শিক্ষকদের বেতন ও ছাত্র-ছাত্রীদের যাবতীয় সরকারি সুবিধার দাবিতে শুরু হয় অনশন।

অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা
এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবস্থান এক মাস পেরিয়ে গেলেও রাজ্য সরকার উদাসীন থাকায় এই ইস্যুতে চাপ বাড়াতে চাইছে বামেরা। রবিবার 'ওয়েস্ট বেঙ্গল রেকগনাইজ্ড আন-এডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন'-এর অবস্থান-মঞ্চে যান বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিকে ইতিমধ্যেই অনশন-অবস্থান চলাকালীন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বেশ কয়েক জন শিক্ষক-শিক্ষিকা।
বামের থেকে বামপন্থী মমতা? বিজেপির 'লাল ভোট' ছিনিয়ে নিতে ছক তৃণমূল কংগ্রেসের