বিশ্বাস হচ্ছিল না আমারই নাম বলছে, কাঁদতে কাঁদতে জানাল মাধ্যমিকে প্রথম অরিত্র পাল
বিশ্বাস হচ্ছিল না আমারই নাম বলছে, কাঁদতে কাঁদতে জানাল মাধ্যমিকে প্রথম অরিত্র পাল
করোনা ভাইরাসের আতঙ্কের মধ্যেই বুধবার ফলপ্রকাশ হল মাধ্যমিকের। প্রায় ১৩৯ দিন পর প্রকাশিত হল এই ফল। অন্যান্য বছরের মতোই এ বছরও শহরকে টেক্কা দিল জেলা। এ বছর মাধ্যমিকে প্রথম স্থান দখল করেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল স্কুলের অরিত্র পাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। অরিত্র এবার একাই প্রথম স্থানে রয়েছে বলে পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।
ছোট
থেকেই
মেধাবি
ছাত্র
অরিত্র
জানিয়েছে,
টিভিতে
প্রথমে
নিজের
নাম
শুনে
বিশ্বাস
হচ্ছিল
না
যে
তারই
নাম
বলছে।
কিন্তু
স্কুলের
নাম
শোনার
পর
বিশ্বাস
হয়।
তারপরই
কেঁদে
ফেলে
সে।
এক
থেকে
দশের
মধ্যে
যে
থাকবে
অরিত্র
তা
মাধ্যমিক
পরীক্ষা
দেওয়ার
পরই
বুঝেছিল
কিন্তু
একেবারে
যে
প্রথম
হয়ে
যাবে
তা
ভাবতে
পারেনি।
অরিত্র
বলে,
'কোচিংয়ে
সব
বিষয়
পড়াতো।
এছাড়া
স্কুলের
শিক্ষকদের
কাছ
থেকেও
যথেষ্ট
সহায়তা
পেয়েছি।
বাড়িতে পড়ার বিশেষ সময় পাইনি তবে মাধ্যমিকের সময় রাত আটটা থেকে ১১টা পর্যন্ত, তারপর খাওয়া দাওয়া করে রাত ১১টা থেকে ১টা দেড়টা পর্যন্ত পড়তাম। এটাই ছিল আমার মাধ্যমিকের আগে পড়াশোনার রুটিন।’ পড়াশোনার বাইরে ছবি আঁকার শখ রয়েছে অরিত্রর। গত আট বছর ধরে সে ছবি আঁকছে, যদিও মাঝে কিছুটা সময় মাধ্যমিকের জন্য তা বন্ধ ছিল। অরিত্রর প্রিয় বিষয় অঙ্ক এবং এটা নিয়েই ভবিষ্যতে এগোতে চায়। ডাক্তারি পড়ার পাশাপাশি বেঙ্গালুরুতে গিয়ে গবেষণা কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। অরিত্রর সাফল্যে গর্বিত তাঁর মা, ছোটবেলা থেকে তিনি পড়িয়ে এসেছেন। ছেলে আশা পূরণ করেছে তাঁর।
এবার
১০
লক্ষ
৩
হাজার
৬৬৬
জন
পরীক্ষার্থী
মাধ্যমিক
দিয়েছে।
এ
বছর
পাশের
হার
আগের
বছরের
তুলনায়
বেড়েছে।
বেড়েছে
ছাত্রীদের
পাশের
হারও।
পাশের
হারের
নিরিখে
সবার
উপরে
রয়েছে
পূর্ব
মেদিনীপুর।
পূর্ব
মেদিনীপুরে
সাফল্যের
হার
৯৬.৫৯
শতাংশ।
তার
পরে
স্থান
পশ্চিম
মেদিনীপুর
ও
কলকাতার।
তার
পরে
স্থান
দুই
২৪
পরগনার।
কলকাতায়
পাসের
হার
৯১.০৭
শতাংশ।
২২
জুলাই
থেকে
মার্কশিট
দেওয়ার
কাজ
শুরু
হবে।
এ
বছর
১৮
ফেব্রুয়ারি
শুরু
হয়েছিল
মাধ্যমিক
পরীক্ষা।
তবে
করোনাভাইরাসের
কারণে
এ
বছর
ফলপ্রকাশ
অনেকটা
দেরিতে
হল।
মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় প্রথম দশে ৮৪ জন, ঠাঁই নেই কলকাতার কোনও পড়ুয়ার