মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় প্রথম দশে ৮৪ জন, ঠাঁই নেই কলকাতার কোনও পড়ুয়ার
২০২০-র মাধ্যমিকেও পাসের হারে কলকাতা তৃতীয় স্থান অধিকার করলেও মেধা তালিকায় প্রথম দশে ঠাঁই মিলল না কলকাতার কোনও পড়ুয়ার। প্রথম দশে মোট ৮৪ জন স্থান পেয়েছে। তাদের সবাই-ই জেলার।
২০২০-র মাধ্যমিকেও পাসের হারে কলকাতা তৃতীয় স্থান অধিকার করলেও মেধা তালিকায় প্রথম দশে ঠাঁই মিলল না কলকাতার কোনও পড়ুয়ার। প্রথম দশে মোট ৮৪ জন স্থান পেয়েছে। তাদের সবাই-ই জেলার। কলকাতা শহরের কোনও স্কুলের ছাত্রছাত্রী নেই এই তালিকায়। এবার জেলার জয়জয়কার হল মেধা তালিকায়।
কলকাতাকে হারিয়ে দিল জেলা
মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পাসের হারে দুই মেদিনীপুরের পর স্থান পেয়েছে কলকাতা। কিন্তু বিস্ময় ঠেকেছে কলকাতার একজনও প্রথম দশে নেই। যেখানে ৮৪ জন ছাত্রছাত্রী জায়গা করে নিয়েছে, সেখানে কলকাতার ঠাঁই মিলল না। যদিও এই বিষয়টিকে পাত্তা দিতে নারাজ পর্যদও।
কলকাতার ফল প্রসঙ্গে পর্যদ সভাপতি
পর্যদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, বিষয়টি সেভাবে দেখা ঠিক হবে না। অনেক কলকাতার ছেলে কলকাতা লাগোয়া জেলায় পড়ে। তারা মেধা তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে। সাফল্যের হারে কিন্তু কলকাতা অনেক জেলার থেকে এগিয়ে রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের পর রয়েছে কলকাতা।
প্রথম চারে জেলার সাত
মাধ্যমিকে এবার প্রথম হয়েছে অরিত্র পাল। মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল হাইস্কুলের ছাত্র সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭০০-র মধ্যে ৬৯৪। দ্বিতীয় হয়েছে দুজন। একজন বাঁকুড়ার সায়ন্তন গড়াই, দ্বিতীয় জন পূর্ব বর্ধমানের অভীক দাস। তৃতীয় হয়েছেন তিনজন। সৌম পাঠক, দেবস্মিতা মহাপাত্র, অরিত্র মাইতি। চতুর্থ হয়েছে বীরভূমের অগ্নিভ পাঠক। দেবস্মিতা মেয়েদের মধ্যে প্রথম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। প্রথম দশে স্থান ৮৪ জনের।
পাসের হারে সর্বকালীন রেকর্ড
মাধ্যমিকে এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮। তার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩০৫ জন। এই পাসের হার ৮৬.৩৪ শতাংশ। মাধ্যমিকে পাসের হারে এবার সর্বকালীন রেকর্ড হল। গতবারের রেকর্ড ভেঙে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি হল এবার।
অসমাপ্ত নেই, ৫৮ জনের পরীক্ষা বাতিল
পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন, কোনও অসমাপ্ত রেজাল্ট নেই। মোট ৫৮ জনের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্র ৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৩৯৮ জন। আর ছাত্রী ৫ লক্ষ ৬৫ হাজার ৬৬৮ জন। মোট ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮ পরীক্ষার্থীর ফল প্রকাশ হল এদিন। ১৩৯ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ হল।
রেজাল্টের উচ্ছ্বাস যেন হয় নিয়ন্ত্রিত, করোনা টিপস দিলেন পর্ষদ সভাপতি