মেধা তালিকায় প্রথম দশে ৮৪ জন, কোন জেলার কারা স্থান পেলেন তালিকায় একনজরে
মেধা তালিকায় প্রথম দশে ৮৪ জন, কোন জেলার কারা তালিকায় একনজরে
করোনার আবহে ১৩৯ দিন পর প্রকাশিত হল মাধ্যমিকের ফলাফল। মেধা তালিকাও প্রকাশ করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এবার মেধাতালিকায় প্রথম দশে স্থান পেয়েছে ৮৪ জন। তাদের সবাই-ই জেলার। কলকাতা শহরের কোনও স্কুলের ছাত্রছাত্রী নেই এই তালিকায়। মেধা তালিকায় প্রথম দশস্থানে কারা, তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা একনজরে।
প্রথম তিনে ছ-জন
মাধ্যমিকে এবার প্রথম হয়েছে অরিত্র পাল। মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়ালের ছাত্র সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৭০০-র মধ্যে ৬৯৪। দ্বিতীয় হয়েছে দুজন। একজন বাঁকুড়ার সায়ন্তন গড়াই, দ্বিতীয় জন পূর্ব বর্ধমানের অভীক দাশগুপ্ত। তৃতীয় হয়েছেন তিনজন। বাঁকুড়ার সময় পাঠক, পূর্ব মেদিনীপুরের দেবস্মিতা মহাপাত্র, রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের অরিত্র মাইতি। দেবস্মিতা মেয়েদের মধ্যে প্রথম। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০। প্রথম দশে স্থান ৮৪ জনের।
চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ
চতুর্থ হয়েছে বীরভূমের অগ্নিভ সাহা। পঞ্চম হয়েছে চারজন। দক্ষিণ দিনাজপুরের অঙ্কিতা সরকার, বর্ধমানের স্বাস্তিক সরকার, বাঁকুড়ার বিক্রমপুর হাইস্কুলের রশ্মিতা সিনহা মহাপাত্র, মুর্শিদাবাদ গোরাবাজের বিভাবসু মণ্ডল। আর ষষ্ঠ হয়েছেন শিলিগুড়ি গার্লস হাইস্কুলের রিঙ্কিনী ঘটক, উত্তরদিনাজপুরের রাজগঞ্জের সুনরীত সিংহ, বীরভূমের অর্চিস্মান সাহা, রাজিবুল ইসলাম, বাঁকুড়ার সৌনক বিশ্বাস, বর্ধমানের সৃজন সাহা, হুগলির সোহম দাস, পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের প্রিন্স কুমার সিং, পূর্ব মেদিনীপুরের অরিজিৎ প্রহরাজ ও সপ্তর্ষি জানা, উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর অস্মি চৌধুরী, হাওড়ার সৌহার্দ্র পাত্র।
সপ্তম স্থানে
সপ্তম হয়েছেন কোচবিহারের করন দত্ত, রীতম বর্মন, মালদহ সোহন তামাং, বীরভূমের শুভদীপ চন্দ্র, বীরভূমের অরণি চট্টোপাধ্যায়, বাঁকুড়ার অরিত্র মাজি, বাঁকুড়ার সাগ্নিক মিশ্র, বর্ধমানের সৌভিক সরকার, হুগলির চন্দননগরের সুহা ঘোষ, হুগলির আরামবাগের দিব্যকান্তি ঘোড়ুই, হুগলির সম্প্রীতি কুণ্ড, পূর্ব মেদিনীপুরের ঋত্বিক সামন্ত, কোলাঘাটের পিয়াস প্রামাণিক, অনুষ্টুপ দাস, মুর্শিদাবাদের দেবক্ষ সিদ্ধান্ত, বারুইপুরের সাহিত্য মণ্ডল, হাওড়ার শহিদ মহম্মদ তামিম। এরা সকলেই ৬৮৬ নম্বর পেয়েছে।
অষ্টম স্থানে
অষ্টম স্থানে জলপাইগড়ির বরুণাদিত্য সাহা, মালদহের নাজনিন আজাদ, মহম্মদ তায়ানুজ্জাহান, হুগলির সুপ্রতীক পণ্ডিত, বাঁকুড়ার অঙ্কিতা ঘোষ, পশ্চিম মেদিনীপুরের শুভঙ্কর মাইতি, পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের সৌমপ্রভ দে, মুর্শিদাবাদের মহাঞ্জন দেবনাথ, উত্তর ২৪ পরগনার মঞ্জুষ হালদার, দমদমের অয়ন ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের সৌম্যদীপ সর্দার এঁরা সকলে পেয়েছে ৬৮৫।
নবম স্থানে
নবম স্থানে জলপাইগুড়ি সুনীতাবালা হাইস্কুলের শ্রেয়া সরকার, মালদহের অঙ্কিতা মণ্ডল, বাঁকুড়ার অয়নদীপ সান্নিগ্রাহি, সাবর্ণ হাতি, পশ্চিম বর্ধমানের অনুশ্রী ঘোষ, পূর্ব বর্ধমানের উর্জসী মণ্ডল, পুরুলিয়ার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্ব মেদিনীপুরের তন্ময় বর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার শুভদীপ বৈদ্য, সায়ক বণিক, এরা সকলেই পেয়েছে ৬৮৪ নম্বর।
দশম স্থানে
দশম স্থান পেয়েছেন কোচবিহারের সম্প্রীতি রায়, মালদহের অয়ন শেঠ, দেবাঞ্জন দে, সায়ন কর্মকার, দক্ষিণ দিনাজপুরের রূপসা সাহা, বীরভূমের জুনায়েদ হাসান, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের দেবাত্রেয়া দাস, অঙ্কন পাত্র, বাঁকুড়ার শঙ্খশুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কন দাস বৈরাগ্য, বাঁকুড়ার সোনামুখীর প্রভাত দত্ত, পূর্ব বর্ধমানের শেখ পারভেজ জেঠ, দেবায়ুত ঘোষ, অন্বেষা ভট্টাচার্য, শ্রীপর্ণা খাসপুরী, হুগলির অদ্বৈত পাণ্ডে, ত্রিশা সরকার, পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশনের সায়ন বিশ্বাস, পূর্ব মেদিনীপুরের সোহম মাইতি, মুর্শিদাবাদের চয়নিকা মুর্মু, দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রিয়াংশু দাস, হুগলির উত্তরপাড়ার সাগ্নিক মুখোপাধ্যায়, মেঘা মণ্ডল।
মেধা তালিকায় জেলার জয়জয়কার
মধ্যশিক্ষা পর্যদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, পাসের হারে দুই মেদিনীপুরের পর স্থান পেয়েছে কলকাতা। কিন্তু বিস্ময় ঠেকেছে কলকাতার একজনও প্রথম দশে নেই। যেখানে ৮৪ জন ছাত্রছাত্রী জায়গা করে নিয়েছে, সেখানে কলকাতার ঠাঁই মিলল না। যদিও এই বিষয়টিকে পাত্তা দিতে নারাজ পর্যদও।
পাসের হার রেকর্ড ৮৬.৩৪
মাধ্যমিকে এ বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮। তার মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৮ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩০৫ জন। এই পাসের হার ৮৬.৩৪ শতাংশ। মাধ্যমিকে পাসের হারে এবার সর্বকালীন রেকর্ড হল। গতবারের রেকর্ড ভেঙে সর্বকালীন রেকর্ড তৈরি হল এবার।
বিশ্বাস হচ্ছিল না আমারই নাম বলছে, কাঁদতে কাঁদতে জানাল মাধ্যমিকে প্রথম অরিত্র পাল