গল্পের বইয়ের পোকা দেবস্মিতা মাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যেও প্রথম হয়ে চমকে দিল মা-কে
করোনা আবহের মাঝেই বেরোল মাধ্যমিকের ফল। পরীক্ষার ১৩৯ দিনের মাথায় প্রকাশিত হল রেজাল্ট। বুধবার সকাল ১০ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মেধাতালিকা প্রকাশ করলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। এবারও মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জেলার জয়জয়কার। মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি বিদ্যাসাগর মেমোরিয়াল ইন্সটিটিউশনের ছাত্র অরিত্র পাল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৪। মেয়েদের মধ্যে প্রথম ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ভবানীচক হাফস্কুলের দেবস্মিতা মহাপাত্র। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯০।

অরিত্রর মতো দেবস্মিতাও এত ভাল ফল আশা করেনি। এই খবর প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই ফোনের পর ফোন এসে চলেছে দেবস্মিতার কাছে। সকলেই অভিনন্দন জানাচ্ছে তাকে। দেবস্মিতা জানিয়েছে যে সে একাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান নিয়েই পড়াশোনা করবে। তবে আর এ স্কুলে নয়, হয়ত অন্য স্কুলে সে একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হবে। ভবিষ্যতে নিট দিয়ে মনোববিদ হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। দেবস্মিতা জানিয়েছে, তার সব বিষয়েই গৃহশিক্ষক ছিল।
এছাড়া স্কুল থেকেও সে যথেষ্ট সাহায্য পেয়েছে। বাবা ভূগোলের শিক্ষক হওয়ায় ওই বিষয়টা তিনি মেয়েকে দেখিয়ে দিতেন। না ছকে বাঁধা পড়াশোনার কোনও সময় ছিল না দেবস্মিতার, বরং যখন ভালো লাগত তখনই পড়ত সে। আর অবসর সময়টা কেটে যেত প্রচুর গল্পের বই পড়ে। যার জন্য বাড়িতে মার কাছে বকাও খেতে হয়েছে তাকে। স্কুল থেকে তাকে ফোন করে অভিনন্দন জানানো হয়েছে। তবে লকডাউনের জন্য এখন সেলিব্রেশন বন্ধ, যদিও বাড়িতে চলছে দেদার মিষ্টিমুখ।

মেধা তালিকায় প্রথম দশে ৮৪ জন, কোন জেলার কারা স্থান পেলেন তালিকায় একনজরে