নারী দিবসে কীর্তি! নিজের সুদৃশ্য কেশরাশি ক্যান্সার পীড়িতদের জন্য দান তণ্বী মধুরিমার
নারী দিবসে কীর্তি! নিজের সুদৃশ্য কেশরাশি ক্যান্সার পীড়িতদের জন্য দান তণ্বী মধুরিমার
আন্তর্জাতিক নারী দিবসের এই দিনটিতে ২৫ বছর বয়সী রায়গঞ্জের মধুরিমা কর, নিজের সুদৃশ্য কেশরাশি সমগ্র ক্যান্সার পীড়িতদের জন্য দান করলেন মধুরিমা। ক্যান্সারে আক্রান্ত মহিলাদের চুল থাকেনা, তাদের উইগ তৈরি করে থাকে মুম্বইয়ের 'মদত ট্রাস্ট'। সেই ট্রাস্টের হাতেই আজকের এই মহান দিনে তার চুল তুলে দিলেন যুবতী মধুরিমা।
লম্বা ঘন চুল সব মেয়েরই পছন্দের। কথায় বলে মেয়েদের সৌন্দর্যের আসল রহনই নাকি লম্বা ঘন মাথার চুল। সেই চুলই স্বেচ্ছায় কেটে অন্যকে দান করতে পারেন। সেকথা হয়তো সত্যিই কেউ হঠাৎ করে কোনও যুবতী মেয়ের পক্ষে ভাবনাটা কঠিন একজন সুশ্রী যুবতী তরুণীর কাছে। আর এই কাজটাই আন্তর্জাতিক নারী দিবসে করলেন রায়গঞ্জের উদয়পুরের বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী মধুরিমা কর।
ক্যান্সার আক্রান্ত নারীদের পাশে দাঁড়াতে নিজের লম্বা চুল কেটে দান করলেন উইগ তৈরীর জন্য। ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাদের কেমোথেরাপি করার জন্য তাদের মাথার চুল সম্পূর্ণ ভাবে ঝরে যায়। ফলে শারীরিক ভাবে সুস্থ হয়ে উঠলেও মাথার চুল না থাকায় নিজেদের সৌন্দর্য বিকাশে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। আর চুল কিনে লাগানোটা যথেষ্ট ব্যায়সাধ্য ব্যাপার হওয়ায় অনেকেই পারেন না।
সেইসব ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাদের নিজের চুল দান করে তাদের সৌন্দর্য ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন রায়গঞ্জের যুবতী মধুরিমা। প্রয়াস ক্ষুদ্র হলেও তার এই মহতী উদ্যোগে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে " ফিনফিড " নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
মধুরিমা জানান ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যায়বহুল চিকিৎসার পরে চুল না থাকায় হীনমন্যতায় ভোগে মহিলারা সেই কারণে বাকি জীবনটা যদি হাসিতে খুশীতে কাটাতে পারে এই ভেবেই নিজের চুল দিলেন।এবং মানুষের জন্য কিছু করতে পেরে আজ তার খুবই ভালো লাগছে।