প্যাক আপের সময়! মদন মিত্রের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শুরু জল্পনা
এখন আর মিডিয়ার আলো মদন মিত্রের (madan mitra) ওপর সেরকমভাবে পড়ে না। তবে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়। সোশ্যাল মিডিয়াতেও যাবতীয় মন্তব্য করতে দেখা যায় তাঁকে। সেরকমই একটি পোস্ট তিনি করেছেন শনিবার রাতে। সেখানে তিনি বলেছেন টাইম ফর প্যাক আপ। বাংলায় লিখেছেন প্যাক আপের সময়।
এক ধাক্কায় কলকাতার তাপমাত্রা কমল ২ ডিগ্রি! ২৪ ঘন্টায় বাংলার আবহাওয়ার জন্য কোন বার্তা হাওয়া অফিসের

মদন মিত্রকে ঘিরে শুরু জল্পনা
এদিকে এই পোস্টের পরে প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রকে ঘিরে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। কোন কারণে তিনি লিখলেন, টাইম ফর প্যাক আপ। তাহলে কি তিনি তৃণমূলের কথাই বলতে চাইছেন, অনেকেই সেই প্রশ্ন তুলছেন। তবে এই পোস্টের কোনও ব্যাখ্যা তিনি দিতে রাজি হননি।
তৃণমূলে থেকেও অনেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। উত্তর পাড়ার তৃণমূল বিধায়ক বলেছেন, তৃণমূলের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। তবে কি সেই পথেই হাঁটতে চলেছে মদন মিত্র, সে উত্তর অবশ্যও এখনও পাওয়া যায়নি।
মাস খানেক আগে তিনি মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূলেক সামনে খাঁড়া করে অনেকেই অনেক কিছু করছেন আবার সাবোটাজের চেষ্টাও করছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছিলেন পাপ বাপকেও ছাড়ে না।

তৃণমূলে সক্রিয় ছিলেন মদন
গত সেপ্টেম্বরেও তাঁকে তৃণমূলে সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে তাঁর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের দাদা সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়। কৃষি বিল নিয়ে তৃণমূলের বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে তিনি মদন মিত্রের হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা তুলে নিয়েছিলেন।

জ্যোতি বসুর ভক্ত ছিলেন মদন মিত্র
সাম্প্রতিক সময়ে মদন মিত্রকে জ্যোতি বসুর প্রশংসা করতে দেখি গিয়েছিল। অগাস্টে তিনি বলেছিলেন, একটা সময়ে জ্যোতি বসুর সম্পত্তি নিয়ে ভুয়ো প্রচার করা হয়েছিল। তবে তিনি বলেছেন, একটা সময়ে তিনিও বিশ্বাস করতেন, জ্যোতি বসুর সম্পত্তি নিয়ে প্রচারে। বহু মূল্যের লিফট, কোটি কোটি টাকা। তবে তা নিয়ে তাঁর ভুল ভেঙে গিয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। মদন মিত্র জানিয়েছিলেন, সোমেন মিত্র তাঁকে জ্যোতি বসুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সময় জ্যোতি বসু বলেছিলেন, তিনি চেনেন।

করোনা কালে নতুন সাজে
মাস কয়েক আগে তাঁর ফেসবুক হ্যাক হয়েছিল। তবে সব থেকে যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছিল এই করোনা কালে তা হল, তেহারায় পরিবর্তন। চেহারা স্লিম। গোঁফও উড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। মদন মিত্র জানিয়েছিলেন, খাওয়ার রুটিনে বদন এনে চেহারায় পরিবর্তন করেছেন। তবে গোঁফ কামানোর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, নাতির সঙ্গে খেলতে গিয়ে এক হাতে চোট পেয়েছিলেন। আর সেই হাত দিয়ে দাঁড়ি কামাতে গিয়ে গোঁফের একটা দিক বেশ কাটা হয়ে যায়। তারপর পুরো গোঁফটাই ছেটে ফেলেন।
(ছবি: মদন মিত্রে ফেসবুক)