মদন-বাণে এবার নিশানায় দলের ‘কাঁকর’-রা! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিশেষ বার্তা
মদন-বাণ চলছেই। একের পর এক বাণে নিশানা করছেন বিজেপিকে। ছাড়ছেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। সম্প্রতি বিরোধী দলনেতার দিকে মদন-বাণে ধেয়ে এসেছিল ব্যান্ডেজ ও মমি-তত্ত্ব।
মদন-বাণ চলছেই। একের পর এক বাণে নিশানা করছেন বিজেপিকে। ছাড়ছেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। সম্প্রতি বিরোধী দলনেতার দিকে মদন-বাণে ধেয়ে এসেছিল ব্যান্ডেজ ও মমি-তত্ত্ব। তবে আর শুভেন্দু অধিকারী বা বিজেপি নয়, এবার তিনি নিজের দলকেই সতর্ক করলেন 'কাঁকর' থেকে।
মদন মিত্রের সাফ কথা, চাল থাকলে কাঁকর থাকবেই। সে জন্য আমাদের চালুনি ব্যবহার করতে হবে। আর মা-বোনেরা যেমন চাল বাছেন গ্রাম্য এলাকায়, সেইভাবেই আমাদের দলকেও চাল থেকে কাঁকরগুলো বেছে ফেলতে হবে। যদি বেশি চাল থাকে, তবে একটু বেশি কাঁকর তো থাকবেই। তৃণমূলের মধ্যে চোর বা দুর্নীতিপরায়ণ নেতা-নেত্রী প্রসঙ্গে এভাবেই ব্যাখ্যা দিলেন কামারহাটির বিধায়ক।
কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, দলকে সক্রিয় হতে হবে কাঁকর বাছতে। আমাদের দল সক্রিয়ও হয়েছে। কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। যা গুরুত্বপূর্ণ। দল ঠিক পথেই রয়েছে। একটা দলে সমস্তরকম লোক থাকতে পারে। আমাদের দুর্নীতিবাজদের সরিয়ে পরিচ্ছন্ন করতে হবে দলকে। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে প্রতিটি পদক্ষেপে।
সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে এক হাত নিয়েছিলেন মদন মিত্র। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে চ্যলেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, মমতাকে প্রাক্তন করতে গেলে শুভেন্দু মমি হয়ে যাবে। আর আসন্ন পঞ্চায়েতে ব্যান্ডেজ খুব কাজে লাগবে। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল।
মদন মিত্র বলেন, পঞ্চায়েত ভোট আসছে। দল যেখানে দায়িত্বে দেবে, সেখানেই আমি কাজ করতে রাজি। তবে আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় আমি কোথায় যেতে চাই, তাহলে বলব আমি নন্দীগ্রামে যেতে চাই। কারণ গতবার ওখানে নোংরামো করে জিতেছিল শুভেন্দু। এবার আমরা আর সেটা হতে দেব না।
মদন মিত্র বলেন, দল কুণাল ঘোষকে দায়িত্ব দিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের। কুণাল খুব ভালো কাজ করছে, তবে আমি নন্দী্গ্রামে দুটো মিটিং করতে চাই। বুঝিয়ে দিতে চাই শুভেন্দুকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করা সহজ নয়। প্রাক্তন করতে গেলে নিজেই মমি হয়ে যাবে। সামনের ভোটেই তৃণমূল প্রমাণ করে ছাড়বে, ওর জয়টা সঠিক ছিল না নন্দীগ্রামে।
এর আগে শুভেন্দুর ডেডলাইন-তত্ত্বকেও খোঁচা দিয়েছিলেন মদন মিত্র। তিনি শুভেন্দুকে পাল্টা ডেডলাইন দিয়েছিলেন জানুয়ারিতে। বলেছিলেন, শুভেন্দুর এবার অউবলাইন হওয়ার সময় এসেছে। যদিও তাঁর এইসব বক্তব্যকে বিজেপি বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। কারণ মদন মিত্রের কথার মান্যতা দেয় না ওঁর দলই।