নন্দীগ্রাম থেকে লড়তে চেয়েছিলেন মদন মিত্র! মমতার ঘোষণার নেপথ্যের 'কারণ' খোলসা করলেন কামারহাটির নেতা
কয়েকদিন আগে তিনি বলেছিলেন, নন্দীগ্রাম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১ লাখ ভোটে না জিতলে তিনি নিজের হাতের পাঞ্জা কেটে ফেলবেন। এই চ্যালেঞ্জের পর এদিন ফের একবার দলীয় সভায় পুরুলিয়ার কাশীপুর থেকে নন্দীগ্রাম নিয়ে মুখ খুললেন মদন মিত্র।

নন্দীগ্রাম ও মদন মিত্র
একবার ফের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় পুরুলিয়ার মাটি তাতিয়ে বক্তব্য রাখেন মদন মিত্র। কুলতলির সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে বক্তব্য রেখেছেন সেই সুর ধরেই মদন মিত্র এদিন বলেন দলের নেত্রীর প্রতি তাঁর অনুযোগের কথা। মদন মিত্র বলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেছিলেন যে তিনি নন্দীগ্রামে দাঁড়াবেন। চ্যালেঞ্জের সুরে তিনি বলেন,'আর শুভেন্দুকে কামারহাটিতে দাঁড়াতে দিন, যদি মায়ের লাল হয়, তাহলে লড়ে নিয়ে যাক'।

'পাঞ্জা কাটতে হবে না'
এদিন, গত সভায় রাখা তাঁর বক্তব্যের রেশ ধরে মদন মিত্র বলেন, অনেকেই তাঁর নেওয়া চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রশ্ন করছেন তাঁকে। তিনি তার জবাবে বলেন, ' পাঞ্জা কাটতে হবে না।' শুধু অঙ্কটা দেড় হবে না দুই লাখ ভোটের হবে , এখন সেটাই মূল প্রশ্ন। এদিন মদন মিত্রের এই বক্তব্যের পর থেকেই করতালিতে ভরে যায় সভাস্থল।

বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম অধিকারী পরিবার
এদিন, মদন মিত্র প্রসঙ্গ তোলেন বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের তুলনার। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারে ২০ জন সদস্যের মধ্যে অভিষেককে দুরের ডায়মন্ডহারবারে পাঠিয়ে সেখানে থেকে জিতে আসার চ্যালেঞ্জ দেন নেত্রী। সেখানে কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের ৬ জন সদস্যের মধ্যে ৫ জনই ক্ষমতায় রয়েছেন। আর এই জায়গায়ই স্পষ্ট করছে দুই পরিবারের তফাৎ।

কেন মমতা বেছে নিয়েছেন নন্দীগ্রাম?
এদিন নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে মগন মিত্র মুখ খুলে সাফ জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন বেছে নিয়েছেন নন্দীগ্রামকে? মদন মিত্র বলেন, আগে শহর থেকে গ্রামকে শাসন করার রীতি ছিল। আর সেই রীতি পাল্টাতেই নন্দীগ্রাম বেছে নিয়েছেন মমতা। আর সেই সূত্র ধরেই বাংলা থেকে দিল্লি শাসনের ডাক দেন মদন মিত্র।

মমতার বার্তার পরই রাজীবের পদক্ষেপ, অরূপ-সকাশে এসে পারদ চড়ালেন জল্পনার