কলকাতার থেকেও উচ্চাসনে সোনারপুর! স্পোর্টস কার্নিভালে ফিরদৌসীদের ভূয়সী প্রশংসায় মদন
সোনারপুর অল বেঙ্গল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস কার্নিভালে এসে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন উদ্যোক্তাদের। তিনি বললেন, ফিরদৌসী ও নজরুলরা এমনই কাজ করেছেন, যা এককথায় অসাধ্যসাধন।
সোনারপুরকে কলকাতার থেকে উচ্চ আসনে তুলে ধরার জন্য বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও নজরুল ইসলামদের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দিলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। শুক্রবার তৃণমূল নেতা মদন মিত্র এই সোনারপুর অল বেঙ্গল গেমস অ্যান্ড স্পোর্টস কার্নিভালে এসে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন উদ্যোক্তাদের। তিনি বললেন, ফিরদৌসী ও নজরুলরা এমনই কাজ করেছেন, যা এককথায় অসাধ্যসাধন। উন্নয়নের নিরিখে একটা অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছেন সোনারপুরকে।
[আরও পড়ুন:পিঠে-পুলি মানেই বাঙালি রসনায় অন্য মাত্রা, লোভ সংবরণ বড়ই কঠিন, যার প্রমাণ এই ছবি]
তাঁর কথায়, সোনারপুরে যে আদর্শ কার্নিভালের ব্যবস্থা হল তা শুধু বিধানসভার একজন সদস্য বা পুরসভার পক্ষে করা সম্ভব নয়। পুরো একটা ক্রীড়া দফতর লাগে এই কাজে। কিন্তু এই কাজ ফিরদৌসী-নজরুলরা একক দক্ষতায় করে দেখিয়েছেন। সোনারপুরকে তুলে ধরেছেন অন্য উচ্চতায়। মদন মিত্র কামালগাজির নেতাজি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ময়দানে স্পোর্টস কার্নিভালের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ভরিয়ে দিলেন ফিরদৌসীদের।
মদন মিত্র বলেন, এত ভালো মাঠ সারা পশ্চিমবঙ্গে আছে কি না আমার জানা নেই। আমার একটা ধারণা ছিল সব থেকে বেশি উন্নয়ন হয়েছে বিধাননগর, রাজারহাট, নিউটাউন এলাকায়। কিন্তু এখন সোনারপুরে এসে দেখছি সোনারপুরই সেই জায়গা, যেখানে উন্নয়নের ঝড় বইয়ে দিয়েছেন ফিরদৌসী-নজরুলরা।
[আরও পড়ুন:রবীন্দ্র চেতনা থেকে বাউল, বর্ণাঢ্য জমকালো উদ্বোধন সোনারপুরের স্পোর্টস কার্নিভাল-এর]
তাঁর কথায়, একটা সময় সোনারপুরের নাম শুনে সবাই বলত, সোনারপুর যাব, আমাকে না ধাপার মাঠে বসিয়ে দেয়। তাঁদের উদ্দেশ্যে বলব- এখন একবার সোনারপুরে ঘুরে আসুন। ফিরদৌসীরা যে কাজ করেছেন, তার তুলনা হয় না। কোনও প্রশংসাই এর জন্য যথেষ্ট নয়। সোনারপুরকে কলকাতার থেকেও উঁচু জায়গায় বসিয়ে দিয়েছেন ফিরদৌসী-নজরুলরা।
ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ সুইংমিংপুল গড়ে উঠেছে এই সোনারপুরে। শ্যামল মণ্ডল বিধায়ক থাকাকালীন এই কাজ শুরু করেছিলেন। তা এখন শেষের পথে। শুধু সুইমিংপুলই নেই, এখানে স্টেডিয়ামও রয়েছে। গড়ে উঠছে স্পোর্টস কমপ্লেক্স। সোনারপুরকে সাজিয়ে তোলার এই কর্মযজ্ঞ প্রশংসা না করে উপায় নেই।
[আরও পড়ুন:রণ-পা থেকে ব্র্যান্ড পার্টি, ফুটবলের জাগলিং সোনারপুর এখন স্পোর্টস কার্নিভালের মেজাজে]
এ স্পোর্টস কার্নিভালের মঞ্চ থেকে কাবাডি-খো খো খেলোয়াড়দের জন্যও উন্নয়নের বার্তা শুনিয়ে যান প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী। তিনি বলেন, যাঁরা এতদিন স্পোর্টস কাউন্সিলে ছিলেন, সেই ২৪৫ জন খেলোয়াড়ের স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা করেছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ ক্যাবিনেটে পাস করিয়ে তিনি ওই ২৪৫ জনের চাকরি ও বেতন পাঁচ-ছহাজার টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছেন।
মদনবাবু এদিন বলেন, কাবাডি ও খো খো যাঁরা খেলছেন, তাঁরা আরও ভালো করে খেলুন। কারণ, খুব তাড়াতাড়ি কাবাডির মতো জাতীয় স্তরে খো খো চ্যাম্পিয়নশিপও শুরু হবে এবং বড় বড় কোম্পানি এই প্রতিযোগিতায় স্পনসর করবে।
উল্লেখ্য ৩১ জানুয়ারি সোনারপুর কামালগাজির নেতাজি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ময়দানে এই কার্নিভালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। এই কার্নিভালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সবুজসাথী প্রকল্প, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী-সহ একাধিক সামাজিক প্রকল্পের থিম বিশেষ আকর্ষমের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। স্পোর্টস কার্নিভাল-এর মূল উদ্যোক্তা স্থানীয় বিধায়িকা ফিরদৌসী বেগম জানান, সাধারণ মানুষ যাতে খেলা-ধূলোর প্রতি আকর্ষণ বোধ করেন, সেই কারণ এমন অভিনব স্পোর্টস কার্নিভাল-এর আয়োজন।