মদন মিত্র এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ পুত্রবধুর, 'বাঁচতে চাই'! ভাইরাল সেই বার্তা
বেকাদায় মদন মিত্র! বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তাঁরই পুত্রবধুর। একেবারে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এহেন অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। যদিও মদন মিত্রের দাবি, আমি
বেকাদায় মদন মিত্র! বিধায়ক এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তাঁরই পুত্রবধুর। একেবারে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এহেন অভিযোগ ঘিরে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। যদিও মদন মিত্রের দাবি, আমি এই বিষয়ে কিছু জানি না।
রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত থাকি বলে দাবি তাঁর। শুধু তাই নয়, তাঁর পুত্রবধু স্বাতী রায়ের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেও দাবি মিত্র পরিবারের।
এদিন মদন মিত্রের পুত্রবধু স্বাতী রায় সোশ্যাল মিডিয়াতে কার্যত একটি বিস্ফোরক ভিডিও প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওতে বারবার বাঁচার আর্জি জানতে থাকেন স্বাতীদেবী। এমনকি তাঁকে খুন করা হতে পারে বলেও মারাত্মক অভিযোগ মিত্র পরিবারের দিকে।
ওই সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি বলেন, এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর বড় ছেলের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল ২০১৪ সালে। কিন্তু কিছুদিন পরেই স্পষ্ট হয় বিষয়টি। জানতে পারি আমার স্বামী একজন সাইকোপ্যাথ। প্রত্যেকদিন রাতে ঘুমের ওষুধ এবং মদ খেত বলেও মারাত্মক অভিযোগ ওই ভিডিও।
এমনকি মারধর করা হত বলেও অভিযোগ মদন পুত্র বধুর। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে যে ভিডিওটি স্বাতীদেবী দিয়েছেন তাতে কোথায় মদন মিত্রের নাম নেননি।
যদিও তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁকে মদন মিত্রও নাকি হুমকি দিয়েছেন। এমনকি একটা সময়ে আত্মহত্যা পর্যন্ত করতে গিয়েছিলেন বলে দাবি তাঁর। তবে দীর্ঘদিন বাপের বাড়িতেই ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বাতী। তবে এই মুহূর্তে আতঙ্কে তিনি কলকাতা ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন। তবে কোথায় গিয়েছেন সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেননি।
স্বাতীদেবীর দাবি, ওরা জানতে পারলে নাকি তাঁকে মেরে দেবে। তবে এই ঘটনা সামনে আসার পরেই কার্যত চরম অস্বস্তিতে মিত্র পরিবার।
এমনকি ঘটনায় রীতিমত চাপের মধ্যেও পড়ে গিয়েছেন তাঁরা। তবে এই ঘটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। তবে মদন মিত্র জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন আগেও স্বাতী দক্ষিণেশ্বরের ফ্ল্যাটে এসেছিল। তাঁর ছেলের সঙ্গেই সময় কাটিয়েছেন। তবে এহেন অভিজিগ খুবই দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য মদন মিত্রের। তবে তাঁর দাবি, ভারতবর্ষে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। আইনে যা আছে তাই হবে।
তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে বিধায়ক-পুত্রের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে সম্পূর্ণ স্পিকটি নট তিনি।
(সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া স্বাতীর বক্তব্য ব্যক্তিগত। ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা ওই ভিডিও যাচাই করে দেখেনি।)