ধাপে ধাপে শুভেন্দুর বেইমানির 'প্রমাণ' মদনের কাছে! জনতা দেবে 'নোবেল' পুরষ্কার, বললেন তৃণমূল নেতা
তিনি কোনওদিন দলের (trinamool congress) সঙ্গে বেইমানি করবেন না। কেশপুরের সভা থেকে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্র (madan mitra)। পাশাপাশি তিনি এই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari) পাশাপাশি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (rajib banerjee) আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল এঁদের নোবেল পুরস্কার দেওয়া।
ইন্দ্রনীলকে নিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য 'কুরুচিকর'! চরম হুঁশিয়ারি সঙ্গীত মহলের

শুভেন্দুর পাল্টা সভা মদনের
বৃহস্পতিবার কেশপুরে সভা করেছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সেই কেশপুরেই পাল্টা সভা করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মদন মিত্র। সেই সভা থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী। সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সুর চড়ান, স্থানীয় বিধায়ক শিউলি থাহা থেকে শুরু করে কেশপুরের তৃণমূল নেতা মহঃ রফিক এবং জেলা সভাপতি অজিত মাইতি।

ধাপে ধাপে বেইমানি শুভেন্দুর
মদন মিত্র দাবি করেন, একবার নয়, ধাপে ধাপে বেইমানি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সমবেত জনগণের সামনে তিনি বলেন, তুমি ধাপে ধাপে উঠেছ, সেরকমই ধাপে ধাপে বেইমানি করেছো। ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহের ঘরে গিয়ে বেইমানি করেছো। প্রসঙ্গত শুভেন্দু অধিকারী নিজের সভাগুলিতে বলে থাকেন, তিনি কলেজ রাজনীতি থেকে ধাপে ধাপে রাজনীতিতে এসেছেন। যা তৃণমূলের অনেকেরই নেই। শুক্রবার তাঁরই পাল্টা দেন মদন মিত্র।
এর আগে নেতাইয়ের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছিলেন মদন মিত্র। তিনি বলেছিলেন, নেতাই থেকে পেটাই শুরু হবে। এবার থেকে তিনি খেলবেন না, কোচিংও করাবেন।

উচিত ছিল নোবেল পুরস্কার দেওয়ার
যাঁরাই বর্তমানে তৃণমূল ছাড়ছেন, বেসুরো হচ্ছেন, তাঁরা সবাই বলছেন, দল তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছে। সেই কারণেই তাঁদের অভিমান ও দুঃখ। যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল এঁদের সবাইকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতি এইসব নেতাদের থাপ্পড় দেবে জনতা।

তিনি বেইমানি করবেন না বলেছেন মদন
মদন মিত্র বলেছেন, যুদ্ধে জিততে না পারলে যুদ্ধক্ষেত্রে পাণ দেবেন, কিন্তু অধিকারীদের মতো বেইমানি করবেন না। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর বরোদা ও বারানসী থেকে দাঁড়ানোর কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের সমালোচনা করেন। প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, অন্তত ৫০ হাজার ভোটে হারাবেন তৃণমূল নেত্রীকে। পাশাপাশি নেত্রী যেন একটি মাত্র কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, সেই দাবিও তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। দেবাংশু বলেন, বিজেপিতে গেলে শিরদাঁড়াটা বিক্রি করে দিতে হয়।