ভোটার তালিকাতে নাম তোলা নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক! মদনের মন্তব্যে হইচই রাজনীতিতে
ভোটার তালিকাতে নাম তোলা নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক! মদনের মন্তব্যে হইচই রাজনীতিতে
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। একদিকে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক বোমা উদ্ধার হচ্ছে, অন্যদিকে হুমকির পালটা হুঁশিয়ারি চলেই যাচ্ছে। এক্ষেত্রে শাসক বিরোধী কেউ কাউকে একচুলও জায়গা ছাড়ছে না। এই অবস্থায় স্বচ্ছ এবং অবাধ নির্বাচন হওয়া নিয়ে কার্যত শংসয় দেখা দিয়েছে। যদিও তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেকের দাবি, এবার উৎসবের মেজাজে ভোট হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে।
নাম তোলা নিয়ে নয়া ফরমান!
মঙ্গলবার বিকেলেই এই সংক্রান্ত আশ্বাস দেন অভিষেক। আর এরপরেই ভোটার লিস্টে নামের তোলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দুদের ভোটার লিস্টে তোলা যাবে না। শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে যারা তৃণমূলের পরিবারের সঙ্গে রয়েছে তাঁদের নামই তোলা হবে বলেও ফরমান বিধায়কের। সম্প্রতি তৃণমূল স্তরে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই এহেন মন্তব্য বিধায়কের।
বেশির ভাগই ভোট বিজেপিকে দিয়ে দেয়
শুধু তাই নয়, বিধায়ক খোকন বলেন, অনেক নতুন লোক আসছে। আর নতুন লোক মানে তো বোঝাই যাচ্ছে। আর প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বিধায়কের দাবি, নতুন লোক বাংলাদেশ থেকে আসছে। ফলে তাঁদের নাম ভোটার তালিকাতে তুলতে গেলে ক্ষতি বলেও দাবি তাঁর। এমনকি হিন্দু হিন্দু করে বেশির ভাগই ভোট বিজেপিকে দিয়ে দেয় বলে চাঞ্চল্যকর দাবি বিধায়কের। ফলে যারা তৃণমূলের পরিবারের সঙ্গে আছে তাঁদের নাম তালিকাতে রাখার কথা বলেন তিনি। প্রকাশ্যে বিধায়কের এহেন মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।
তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বিধায়ক মদনের
একদিকে বর্ধমানে দাঁড়িয়ে বিধায়ক দাঁড়িয়ে এমন পরামর্শ দিচ্ছেন অন্যদিকে কলকাতাতে বসে পঞ্চায়েত ভোট তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বিধায়ক মদন মিত্রের। তাঁর দাবি, ৯৮ শতাংশ আসনেই তৃণমূল জিতবে এবার। তবে রেখে ঢেকে খেলতে হবে বলে দাবি বিধায়কের। একেবারে ফাঁকা মাঠে গোল হবে বলে মন্তব্য শোনা গিয়েছে মদন মিত্রের কথাতে। তাঁর দাবি, রাজ্যে বিরোধীরা কোথায়? পা ফেলার আগেই ভোট হয়ে গিয়েছে বলে দেখা যাবে বলেও বিস্ফোরক মন্তব্য মদন মিত্রের।
আর এহেন মন্তব্য ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। কড়া ভাষায় শাসকের এহেন হুঁশিয়ারির সমালোচনা করেছে বিজেপি সহ সমস্ত বিরোধী শক্তিই। এমনকি আগামিদিনে আঔতে সত্যিই শান্তিপূর্ণ ভোট হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন বিরোধীরা।