মুকুল বিদায়ের পর সাবধানী তৃণমূল! মদনকে আসরে নামিয়ে টক্কর বিজেপিকে
মুকুল বিদায়ের পর তৃণমূল খুব সাবধানী। আর যাতে কোনও ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, সেই কারণে মদন মিত্রকে ফের গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে দল।
তাঁকে নিয়েও জল্পনার শেষ ছিল না। সারদাকাণ্ডে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর দীর্ঘদিন সক্রিয় রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। দলও তাঁর উপর আস্থা রাখেনি। শনিবার কিন্তু সেই মদন মিত্রকে দেখা গেল একেবারে পুরনো ফর্মে। ফের তাঁর মুখে মমতা বন্দনা। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে তিনি আবারও বিজেপিকে চাঁছাছোলা ভাষায় বিঁধলেন।
তিনি বলেন, 'যো মমতা সে টগরায়েগা, ও চুরচুর হো যায়েগা।' বিজেপিরও সেই একই অবস্থা হবে। ওরা যত হামলা করবে, ততই তৃণমূল মানুষের হৃদয়ে গেঁথে যাবে। আসলে বিজেপি তো নেই পশ্চিমবঙ্গে। তাই মাঝেমধ্যে ছবি তোলার জন্য এসব করে। নিজের লোক দিয়েই হামলা করে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করে।'
এদিন দিলীপ ঘোষকে দাঙ্গাবাজ বলেও কটাক্ষ করেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, 'পুলিশের কি কাজ নেই দাঙ্গাবাজদের নিরাপত্তা দিতে যাবে। একজন পাহাড়ে দাঙ্গা বাধাতে যাচ্ছেন, তাহলে তাঁকে কেন অহেতুক পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে। শান্ত পাহাড়ে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। তার জবাবও পেয়েছেন।'
২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চে তাঁকে উঠতে দেওয়া হয়নি। আর পাঁচজন সাধারণ কর্মীর সঙ্গে তিনি রাস্তাতে বসতে বাধ্য হয়েছিলেন। সেই থেকেই তাঁর রাজনৈতিক জীবন নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তিনি এবার কী করবেন, তবে কি রাজনৈতিক জীবনে দাঁড়ি টানবেন মদন মিত্র। উত্তরে তিনি জানিয়েছিলেন, 'চিরকাল মাটির কাছাকাছি থেকেছি। মানুষকে নিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করেছি। তাই মানুষের সঙ্গে একাসনে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।'
কৌশলী উত্তরে পরিস্থিতি সামাল দিলেও তাঁর রাজনৈতিক জীবন কিন্তু তখন থেকেই সংশয়ে ছিল। তবে বিজেপি বিরোধী প্রতিবাদ মিছিলে তাঁকে এদিন ফের স্বমহিমায় দেখা গেল। স্পষ্টতই রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মুকুল বিদায়ের পর তৃণমূল খুব সাবধানী। আর যাতে কোনও ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়, সেই কারণে মদন মিত্রকে ফের গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে দল। আর গুরুত্ব ফিরে পেতেই বিজেপির বিরুদ্ধে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ হানলেন। সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর মুখে। একেবারে আগের মতোই।'