মুকুলের দাবি 'সত্যি' হলে মা-মাটি-মানুষ-এর 'মালিক'ও অভিষেক, প্রশ্ন মমতার দলের অন্দরমহলেও
মুকুল রায়ের ঝোলা থেকে বের হল নতুন অস্ত্র। বিশ্ব বাংলা, জাগো বাংলার পর এবার মা, মাটি মানুষ। যার ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রশনও রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে।
মুকুল রায়ের ঝোলা থেকে বের হল নতুন অস্ত্র। বিশ্ব বাংলা , জাগো বাংলার পর এবার মা, মাটি মানুষ। যার ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রশনও রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে।
১০ নভেম্বর কলকাতার সমাবেশ থেকে বিশ্ব বাংলা এবং জাগো বাংলা নিয়ে তথ্য দিয়েছিলেন মুকুল রায়। জানিয়েছিলেন ভারত সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীনে কন্ট্রোলার জেনারেল অব পেটেন্টস, ডিজাইনস ও ট্রেড মার্কস-এর ওয়েবসাইটে ০৮/০৫/২০১৭-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেই বিশ্ব বাংলার ট্রেডমার্ক নথিভূক্ত।
এরপর সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের হাতে মুকুল রায় যে তথ্য তুলে দিলেন, তাতে, দেখা যাচ্ছে 'মা মাটি মানুষ'-এর ট্রেড মার্ক সার্টিফিকেটও রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে। ওই তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ১২ অগাস্ট ভারত সরকারের ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে 'মা মাটি মানুষ'-এর ট্রেড মার্ক সার্টিফিকেট পেয়েছেন। বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের অভিষেকের নামে 'মা মাটি মানুষ'-এর ট্রেডমার্ক নেওয়া অনৈতিক কাজ।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার রাত পর্যন্ত তৃণমূল কিংবা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সোমবার ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশ থেকে মুকুল রায়কে নানা ভাষায় আক্রমণ করা হলেও, বিশ্ব বাংলা কিংবা জাগো বাংলা নিয়ে কেউ কোনও শব্দ করেননি। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ এক নেতা জানিয়েছেন, বিশ্ব বাংলা কিংবা জাগো বাংলা নিয়ে তৃণমূল টাল সামলাতে না পারায় এবার 'মা মাটি মানুষ' অস্ত্রও প্রয়োগ করলেন একসময়ের তৃণমূলের অঘোষিত দ্বিতীয় ব্যক্তি।
ট্রেড
মার্ক
রেজিস্ট্রেশনের
সুবিধা
হল,
প্রাপক
এই
মার্কের
মালিকানা
দাবি
করতে
পারবেন
এবং
ব্যবহারের
ক্ষেত্রেও
তাঁর
অগ্রাধিকার
থাকবে।
সূত্রের
খবর,
'মা
মাটি
মানুষ'-এর
ট্রেড
মার্ক
রেজিস্ট্রেশন
কেন
তা
করা
হল
অভিষেকের
নামে,
তা
নিয়ে
প্রশ্ন
উঠছে
তৃণমূলের
অন্দরমহলেই।