প্রেমের ফাঁদে ফেলে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ হাড়োয়ায়
প্রেমের ফাঁদে ফেলে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ হাড়োয়ায়
প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে এক যুবতীর কয়েক লক্ষ টাকা, সোনার গয়না সহ সর্বস্ব হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবতী। ঘটনার পেছনে কোন বড়সড় প্রতারণা চক্রের যোগসূত্র আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ফোনে আলাপ হয় উত্তর ২৪ পরগণার বেড়াচাঁপার ডঃ শহীদুল্লাহ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ২২ বছরের যুবতী পরভীনা খাতুনের সঙ্গে হুগলির ডানকুনির বাসিন্দা ২২ বছরের সাদ্দাম মোল্লার সঙ্গে। তারপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শুরু হয় প্রেম কাহিনি।
জানা যায়, তারা কয়েক বার দেখাও করেছে। তারপর যুবক একের পর এক অজুহাত দিয়ে টাকা দাবি করেন প্রেমিকার কাছে। প্রেমিকা বিশ্বাস করে প্রথমে হাড়োয়া স্টেট ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে আড়াই লক্ষাধিক টাকা যুবকের অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করেন। তারপর যুবক ঐ যুবতীর বাড়িতেও আসেন। সেখান থেকেও নগদ কিছু টাকা এবং সোনার গহনার নিয়ে যান। প্রেমিক সব মিলিয়ে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন বলে ওই যুবতীর দাবি।
পারভীনা জানান, বাবা জোবেদ আলি দিনমজুরের কাজ করে। যুবতীকে বিয়ে দেওয়ার জন্য জোগাড় করেছিলেন টাকা। তার সেই টাকা সর্বস্ব হাতিয়ে নিল তারপর যুবতীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় প্রেমিক এবং যুবতীর মোবাইল নাম্বারও ব্লক করে দিয়েছে। এমনকি তার সিমকার্ড দুটিও বদল করে দিয়েছে। সব দেখে যুবতীর বাবা মা বাড়ি থেকে বের করে দেয় যুবতীকে। যুবতীর পেট চালাতে একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে। এমনকী তার কলেজও বন্ধ হয়ে যায়।