জাল লটারিতে ৯০ হাজার টাকার পুরস্কার নিতে গিয়ে ধৃত যুবক
জাল লটারির টিকিটে ৯০ হাজার টাকার পুরস্কার নিতে গিয়ে জলপাইগুড়ির লটারি ব্যবসায়ীর হাতে ধরা পড়ল এক যুবক। তাকে সঙ্গে সঙ্গে কোতয়ালী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যুবকের নাম–পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
জাল লটারি টিকিট নিয়ে পুরস্কার জেতার পর ৯০ হাজার টাকা নিতে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়ল এক যুবক। ওই যুবককে আটকে রেখে কোতয়ালী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় জলপাইগুড়ি কলেজ মোড়ের এক ব্যবসায়ী। ধৃতের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের বাড়ি নদিয়া জেলায়। এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান জাল লটারির অত্যাচারে অতিষ্ঠ জলপাইগুড়ির লটারি ব্যবসায়ীরা। গতকাল রাতের লটারির খেলাতে একটি নাম্বারে পুরস্কার ওঠে ৯০ হাজার টাকা। একই সঙ্গে দুটি দোকানে দুই যুবক দুটি টিকিটির পুরস্কারের টাকা নিতে গিয়েই বিপত্তি বাধে। স্থানীয় লটারি ব্যবসায়ীরা টিকিট নিয়ে তাদের ডিস্টিবিউটারকে ফোন করলে বিষয়টি তাদের নজরে আসে।
ডিস্টিবিউটার জানান, এই নম্বরে একটি পুরস্কার কিছুক্ষণ আগে বেলাকোবার একটি দোকানে হয়েছে ওই একই নম্বরে আবার কি করে পুরস্কার আসলো। স্থানীয় লটারি ব্যবসায়ী এই কথা শোনার পর সতর্ক হয়ে যান। এরপর ওই যুবক পুরস্কারের টাকা নিতে দোকানে এলে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলা হয়।
জলপাইগুড়ি কলেজমোড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ধৃত যুবকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এদের ৬ জনের একটি দল আছে। তারা লটারি জাল করে এই ধরণের কাজ করে। লটারি ব্যবসায়ীরা জানান, এই পরিস্থিতিতে ছোটো ছোটো লটারি ব্যবসায়ীদের আত্মহত্যা করতে হবে কারন এই জালিয়াতি দীর্ঘ দিন থেকে চলছে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ করছেনা। প্রচুর টাকা নিয়ে চলে গেছে এই প্রতারকদের দল।
পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের বক্তব্য প্রতারকরা আসল টিকিটের কাগজ কোথা থেকে পাচ্ছে আর সেই কাগজে এই জাল লটারি টিকিট ছাপিয়ে নিয়ে এই ধরনের ব্যবসা করছে। তাদের ধারনা এর সাথে লটারি কোম্পানির কেউ যুক্ত থাকতে পারে। জলপাইগুড়ি কোতয়ালী থানায় বেশ কিছু লটারি ব্যবসায়ীরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ধৃত যুবকের নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।