লোকসভার লক্ষ্যে একনজরে ডায়মন্ডহারবার! সিপিএম থেকে তৃণমূল
আজ আমরা কথা বলব ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে। বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই লোকসভা আসনে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। আর ভোটের লড়াইওহয়েছে তীব্র।
আজ আমরা কথা বলব ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে। বাংলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই লোকসভা আসনে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। আর ভোটের লড়াইও হয়েছে তীব্র। একসময়ে এই আসনকে সিপিআইএম-এর আসন হিসেবে ধরে নেওয়া হলেও, ২০০৯ থেকে এই আসন তৃণমূলের দখলে।
দশকের পর দশক ধরে এই আসনে সিপিএম জিতে এসেছে। ১৯৮৪ থেকে হিসেব করলে, সেই বছরে নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন সিপিআইএম-এর অমল দত্ত।
তবে পরবর্তী কালে বিরোধী প্রার্থীর সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়েছেন বাম প্রার্থীরা। ১৯৮৯-এ এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন অমল দত্ত। কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন মায়া ঘোষ।
১৯৯১-এও এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন অমল দত্ত। তবে আগের বারের ৪৩ হাজারের ব্যবধান বাড়িয়ে প্রায় ৪৫ হাজার হয়েছিল।
একনজরে ডায়মন্ডহারবার
১৯৯৬ সালে এই আসনে নতুন প্রার্থী দেয় সিপিএম। তৎকালীন ছাত্র নেতা শমীক লাহিড়ী কংগ্রেস প্রার্থী সর্দার আমজাদ আলিকে পরাজিত করেন। জয়ী হলেও এই আসনে ভোটের ব্যবধান কমিয়ে নিতে পেরেছিল কংগ্রেস। ১৯৯৮-এর নির্বাচনে এই কেন্দ্রে নতুন শক্তি হিসেবে উঠে আসে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে প্রায় ৬০ হাজার ভোটে পরাজিত করেছিলেন সিপিএেম প্রার্থী শমীক লাহিড়ী। বছর গড়াতে না গড়াতেই সারা ভারতের সঙ্গে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে ফের নির্বাচন। তবে তৃণমূল এদফায় প্রার্থী বদল করে। সর্দার আমজাদ আলিকে প্রার্থী করেছিল তারা। আগের বারের থেকে এবারে ভোটের ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পেরেছিল সিপিআইএম। ২০০৪ সালে এই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেছিল তৃণমূল। ওই বছরে সিপিআইএম-এর শমীক লাহিড়ীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন সৌগত রায়। তবে শমীক লাহিড়ীর সঙ্গে ব্যবধান গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১ লক্ষ ৫৩ হাজারে।
ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের জনসংখ্যা ২২ লক্ষের বেশি। জনসংখ্যার প্রায় ৪৯ শতাংশ গ্রামে বাস করেন। আর শহরে বাস করেন প্রায় ৫১ শতাংশ মানুষ।
ডায়মন্ডহারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
২০০৯ সালে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্র থেকে সিপিআইএম-এর একাধিপত্ব ভেঙে যায়। তৃণমূলের সোমেন মিত্রের কাছে বড় ব্যবধানে পরিজিত হন শমীক লাহিড়ী। ব্যবধান ছিল প্রায় একলক্ষ ৫১ হাজারের মতো। ২০১৪-তে প্রার্থী বদল করে তৃণমূল। সোমেন মিত্র দল ছাড়ায় এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সিপিআইএম এই কেন্দ্রে দাঁড় করায় প্রবীণ চিকিৎসককে। ভোটের ফলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হলেও, ভোটের ব্যবধান কমে আসে অনেকটাই। প্রায় ৭১ হাজার ভোটে জয়ী হন অভিষেক। যদিও এর পরবর্তী সময়ে এই কেন্দ্রের পাশে থাকা হুগলি নদী দিয়ে অনেক জল গড়িয়েছে। ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের অন্তর্গত অধিকাংশ পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এলাকায় সব পুরসভাতেও ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল।
২০১৪-র ভোট চিত্র
২০১৪-র
নির্বাচনে
ভোট
দিয়েছিলেন
প্রায়
১২
লক্ষ
৬১
হাজার
জন।
শতাংশের
নিরিখে
যা
প্রায়
৮১
শতাংশ।
মোট
ভোটদাতার
৮
লক্ষ
১৬
হাজার
জন
ছিলেন
পুরুষ
আর
৭
লক্ষ
৩৯
হাজার
জন
মহিলা।
এই
কেন্দ্রের
একটা
বড়
অংশের
মানুষ
মুসলিম
সম্প্রদায়ভুক্ত।
[আরও পডুন: ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে একনজরে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র]