লোকসভার লক্ষ্যে যাদবপুর! একনজরে ৩ বড় দলের প্রার্থীরা
পশ্চিমবঙ্গের একটি উল্লেখযোগ্য লোকসভা কেন্দ্র হল যাদবপুর। কলকাতা ঘেঁষা এই কেন্দ্রে রদবদল হয়ে বহুবার। মহারথিদের উত্থান-পতন দেখেছে এই কেন্দ্র। গতবার এই কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে ছিল।
পশ্চিমবঙ্গের একটি উল্লেখযোগ্য লোকসভা কেন্দ্র হল যাদবপুর। কলকাতা ঘেঁষা এই কেন্দ্রে রদবদল হয়ে বহুবার। মহারথিদের উত্থান-পতন দেখেছে এই কেন্দ্র।
গতবার এই কেন্দ্র তৃণমূলের দখলে ছিল। এবার এই কেন্দ্রের উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, সিপিএম-এর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, তৃণমূল কংগ্রেসের মিমি চক্রবর্তী এবং বিজেপির অনুপম হাজরা।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
কলকাতা তথা ভারতের অন্যতম বিশিষ্ট আইনজীবী। দীর্ঘদিন ধরেই সিপিএম দলের সঙ্গে যুক্ত তিনি। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতার মেয়র ছিলেন।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর চিটফান্ড বিরোধী আন্দোলনে দেখা গিয়েছে বিকাশ ভট্টাচার্যকে। সঙ্গে অবশ্যই ছিলেন কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান। চিটফান্ড-সহ অনেক মামলা তিনি বিনা পারিশ্রমিকেই লড়েছেন। এবার এহেন নেতাকে প্রার্থী করেছে সিপিএম।
মিমি চক্রবর্তী
বাংলা
চলচ্চিত্র
এবং
টেলিভিশন
অভিনেত্রী।
গানের
ওপারে
ধারাবাহিকের
পুপে
চরিত্রে
অভিনয়
করে
সবার
নজর
কাড়েন।
তবে
প্রথমের
দিকে
মডের
হিসেবেই
পরিচিত
ছিলেন।
অভিনয়
শুরু
করেন
চ্যাম্পিয়ন
ছবিতে।
পরে
গানের
ওপারে
ধারাবাহিকে
সফল
অভিনয়।
সফল
চলচ্চিত্রের
মধ্যে
রয়েছে,
২০১২-তে
বাপি
বাড়ি
যা
ছবিতে
দোলা
চরিত্রে
অভিনয়।
এরপর
বিভিন্ন
সময়ে
একাধিক
চলচ্চিত্রে
অভিনয়
করেছেন
তিনি।
এহেন
এক
চলচ্চিত্র
অভিনেতাকে
এবার
হাইপ্রোফাইল
যাদবপুর
থেকে
প্রার্থী
করেছে
তৃণমূল।
অনুপম হাজরা
২০১৪ সালে বোলপুর কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী দেয় তৃণমূল। বিশ্বভারতীয় অধ্যাপক অনুপম হাজরাকে প্রার্থী করে তৃণমূল। তিনি সিপিএম প্রার্থী রামচন্দ্র ডোমকে ২ লক্ষ ৩৬ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তৃণমূলের। এবছরের জানুয়ারিতে বহিষ্কৃত হন দল থেকে। দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন সম্প্রতি। অনেকেই ভেবেছিলেন তাঁকে প্রার্থী করা হবে বোলপুর থেকে। কবে বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর দেখা যায়, তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে যাদবপুর থেকে।
১৯৮৪
সালে
এই
যাদবপুর
কেন্দ্রে
জেতার
পর
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
নাম
সামনে
আসে।
তৎকালীন
সময়ে
প্রভাবশালী
বলে
পরিচিত
সিপিআইএমের
সোমনাথ
চট্টোপাধ্যায়কে
১৯৬৬০
ভোটে
হারিয়ে
দেন
কংগ্রেস
প্রার্থী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাঁচ
বছর
পরে
এই
কেন্দ্র
থেকেই
৩০,৯০০
ভোটে
অধ্যাপিকা
সিপিআইএম-এর
মালিনী
ভট্টাচার্যের
কাছে
হেরে
যান
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৯৯৬ সালে প্রার্থী বদল করে কংগ্রেস। যাদবপুর কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী করা হয় নেতাজি পরিবারের কৃষ্ণা বসুকে। ১৩ হাজারের বেশি ভোটে হেরে যান সিপিআইএম-এর মালিনী ভট্টাচার্য। ২০০৪ সালের ভোটে সিপিআইএম এই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে। সুজন চক্রবর্তীকে প্রার্থী করা হয়। তাঁর কাছে হেরে যান তৃণমূলের কৃষ্ণা বসু। ব্যবধানও ছিল ৮৯ হাজারেরও বেশি।
২০০৯ সালে এই কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করে তৃণমূল। প্রার্থী করা হয় কবীর সুমনকে। তাঁর কাছে হেরে যান সুজন চক্রবর্তী। ব্যবধান ছিল ৫৬ হাজারেরও বেশি।
কিন্তু ২০১৪-এ তৃণমূল আসন দখলে রাখলেও প্রার্থী বদল করা হয়। কবীর সুমন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠায় প্রার্থী করা হয় অধ্যাপক সুগত বসুকে। সিপিআইএমের তরফে প্রার্থী ছিলেন সুজন চক্রবর্তী। একলক্ষ ২৫ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত হন তিনি।