বরকতি থেকে ব্রাহ্মণ হচ্ছে তৃণমূল! প্রতিরোধের নামে প্রতিহিংসার ‘বাণী’ বিজেপি নেত্রীর
বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের ব্রাহ্মণ সম্মেলন প্রসঙ্গে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন বিজেপির মহিলা মোর্চা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূলকে বার্তা দেন, 'বর্তমান সরকারের আমলে দেশ পাকিস্তানের দিকে এগিয়ে চলেছে। যখন দেখছে এই পথে বিজেপিকে আটকানো সম্ভব নয়। তখন বরকতি থেকে পাল্টি খেয়ে ব্রাহ্মণ হওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস।'
তিনি এ প্রসঙ্গে বিজেপি কর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। লকেট বলেন, 'প্রয়োজনে অস্ত্রের বদলে অস্ত্র তুলে নিতে হবে। উচিত শিক্ষা দিতে হবে তৃণমূল কংগ্রেসকে।' উল্লেখ্য, বীরভূমের কু-কথার রাজনীতিতে বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে উঠেছিল। অনুব্রত মণ্ডলের একের পর এক বাজে কথার জবাব বাজে কথা দিয়ে দিচ্ছিলেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা।
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিষেধের পর অনুব্রত মণ্ডল কটূ মন্তব্যে রাশ টানলেও বিজেপি সেই ধারা ধরে রেখে দিয়েছে। বীরভূমের বিজেপি পর্যবেক্ষক আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেস এ জেলায় যেমন অরাজকতা করবে, তার থেকে বেশি অরাজকতা আমরা করব।' এবার বিজেপির মহিলা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মুখেও সেই একই কথার প্রতিধ্বনি। তিনি অস্ত্রের বদলে অস্ত্র তুলে নিয়ে তৃণমূলকে প্রতিরোধের ডাক দিচ্ছেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশে তাই এ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। তাঁদের সমালোচনা, এখন থেকেই বিজেপির মুখে যেমন বদলার কথা শোনা যাচ্ছে, তা রাজ্য-রাজনীতিতে ভয়ঙ্কর দিনের সূচনা করবে। তৃণমূল কংগ্রেস তবু বামফ্রন্ট শাসনের অবসান ঘটানোর সময় স্লোগান তুলেছিল, 'বদলা নয়, বদল চাই'। যদিও মুকুল রায়রা বলেন, 'বদলা নয়, বদল চাই' স্লোগান এখন উল্টে গিয়েছে। তৃণমূল বদলার রাজনীতি শুরু করেছে।
রাজনৈতিক মহলে এখন প্রশ্ন, বিজেপি নেতারা যখন বদলার রাজনীতিতে তৃণমূলকেই দায়ী করছে, তবে তাঁরা কেন বদলার কথা বলছেন বারে বারে। তাঁদের মুখে প্রতিহিংসার কথা রাজ্যবাসীর কাছে অন্য বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে। বেশি আগ্রাসী হতে গিয়ে দলেরই ক্ষতি করছেন বিজেপি নেতা-নেত্রীরা। লকেটের আগে মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষরাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে হিংসার ডাক দিয়েছিলেন।