সন্দেশখালির রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়
এক বছর কেটেছে, এখনও অধরা গত বছর ৮ জুন রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে খুনের ঘটনার দোষীরা। এক বছর পর সন্দেশখালির রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত ও নিখোঁজের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপির নবনিযুক্ত সহ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়।

মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সমবেদনা জানিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে যেভাবে আজ তারা শহীদ হয়েছেন তাদের সেলুট জানাই। এরাই ভারতীয় জনতা পার্টির আসল কর্মী। এদের পরিবারের সাথে আছি পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
মৃত ও নিখোঁজের সিবিআই তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম সিবিআই তদন্ত হোক। সিবিআই তদন্তের আর্জিও জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সবটাই জানে তাই নিজেদের হাতে তদন্তভার রেখে দেয়। এরা জানে নিজেদের লোক ঘটনায় জড়িত আছে তাই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সিবিআইয়ের থেকে নিজেদের হাতেই রেখে দেয়।
হুঁশিয়ারি দিয়ে এদিন বিজেপি নেত্রী জানান, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার আসছে। আবার এই কেস উঠবে। আসল দোষীরা শাস্তি পাবেই। এবং প্রশাসনের যারা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আছেন তারাও জবাব পাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর হাজার কোটি টাকা রেখে দেওয়া হয়েছে। আগামী নির্বাচনে খরচা করা হবে। হাজারো গরিব মানুষের কাছে এই টাকা পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বাংলা সন্ত্রাস নিয়ে তিনি তোব দাগেন, বাংলা কিভাবে সন্ত্রাস চলছে, গত লোকসভা তৈরি ভাবে সন্ত্রাস চলেছে আগামী একুশে নির্বাচনে মানুষ তার জবাব দেবে। ২০১৯ এর জবাব দিয়েছে। আর যারা পারেনি এবার তারা জবাব দেবে। ধর্মীয়ভাবে রাজনীতি চলছে বাংলায়। গত বছর এই দিনে আমাদেরকে বডি নিয়ে কলকাতা যেতে দেয়নি।
পাশাপাশি বসিরহাটের সাংসদ কে তোব দেগে তিনি বলেন, যাকে ভোট দিয়ে বসিরহাটের মানুষ দিয়েছে সে কি আপনাদের খোঁজ নিতে আসে!

উল্লেখ্য, ঠিক এক বছর আগে ২০১৯ সালে দলীয় পতাকা লাগানোর কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি মধ্যে সংঘর্ষ হয় মৃত দুই বিজেপি কর্মী পাশাপাশি তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। এখনও নিখোঁজ এক বিজেপি কর্মী দেবদাস মণ্ডল।
হাইকোর্ট খুললেও কাজে যোগ দিচ্ছেন না আইনজীবীরা