বিজেপির ‘সেকেন্ড ইন কম্যান্ড’ হলেন লকেট! মহারাজকীয় উত্থানে বঙ্গ রাজনীতিতে
বিজেপিতে গিয়ে তাঁর রাজকীয় উত্থান হল। বঙ্গে বিজেপির উত্থানও রাজকীয়। মাত্র এক দু-বছরেই বাংলার প্রধান বিরোধী দলে পরিণত হওয়া এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মতো জনপ্রিয় দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া কম কথা নয়।
বিজেপিতে গিয়ে তাঁর রাজকীয় উত্থান হল। বঙ্গে বিজেপির উত্থানও রাজকীয়। মাত্র এক দু-বছরেই বাংলার প্রধান বিরোধী দলে পরিণত হওয়া এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মতো জনপ্রিয় দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া কম কথা নয়। আর সেই দলের সৈনিক হিসেবে স্বপ্নের উত্থান হল এই সাংসদের।
দিলীপ ঘোষের পরই তিনি
তৃণমূলে ছিলেন একজন সাধারণ নেত্রী হিসেবে। তারপর বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাঁর ধাপে ধাপে উত্তরণ হয়েছে। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি লাফিয়ে সেকেন্ড ই কম্যা্ড হয়েছেন বঙ্গ বিজেপির। অর্থাৎ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের পরই তাঁর অবস্থান।
বিজেপি যোগে তরতরিয়ে উত্তরণ লকেটের
একটা সময় টলিউডের উঠতি নায়িকা ছিলেন, সেখানে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু তৃণমূলে তিনি পসার জমাতে পারেননি। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতেই তরতরিয়ে উত্তরণ ঘটে তাঁর। বিজেপি নেত্রী থেকে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী, সাংসদ, এখন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক।
রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে তাঁর উত্থান
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার স্বল্পদিনের মধ্যেই তিনি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হয়েছিলেন। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে তাঁর উত্থান হয়। তারপর এতদিন দলীয় সংগঠনে ওই পদেই ছিলেন তিনি। ২০১৯-এ তিনি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। তারপর একুশের লক্ষ্যে বঙ্গ বিজেপির কমিটি রদবদলে তিনি হয়ে গেলেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক।
মোর্চার নেত্রী হিসেবে সাফল্যেই প্রোমোশন
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হলেন মোট পাঁচ জন। তাঁরা হলেন- সায়ন্তন বসু, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় মাহাতো, সঞ্জয় সিং এবং রথীন্দ্রনাথ বসু। এই তালিকায় লকেটই একমাত্র মহিলা। বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী হিসেবে তাঁর সাফল্যের জন্যই এই প্রোমোশন পেলেন তিনি। লকেটের জায়গায় মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হলেন অগ্নিমিত্রা পাল।